কাগজ ডেস্ক : তাইওয়ানের সেনাদের গোপনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বছরের বেশি সময় ধরে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকা গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানায়। খবর এএফপির। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, তাইওয়ানের স্থল ও নৌসেনাদের কমপক্ষে এক বছর ধরে গোপনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। প্রশিক্ষণের এই কাজে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিযান বাহিনী ও মেরিন সেনারা জড়িত। তাইওয়ানের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। চীনের বারবার হুমকিধমকি ও সতর্কতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র তাইওয়ানের সেনাদের গোপনে প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে চীন। তাই জোরপূর্বক তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় তারা। আর তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে। সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করে আসছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনার এটিও একটি কারণ।
নাম প্রকাশ না করা একাধিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে তাইওয়ানের সেনাদের গোপনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ দেয়ার খবরটি প্রকাশ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে ওই প্রতিবেদনটির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে প্রতিবেদনটির সত্যতা নিশ্চিত বা নাকচ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন সাপল এক বিবৃতিতে বলেন, চীনের হুমকির প্রেক্ষাপটে তাইওয়ানের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। গত নভেম্বরে তাইওয়ানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের মেরিন ও বিশেষ বাহিনীর সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা সেখানে পৌঁছেছেন।
তাইওয়ানের নৌ-কমান্ডারের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই খবরের সত্যতার প্রতিফলন ঘটল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে। তবে সে সময় তাইওয়ানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা নাকচ করে দেয় তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র। তখন উভয় পক্ষ বলেছিল, কোনো প্রশিক্ষণ নয়, তারা দ্বিপক্ষীয় সামরিক বিনিময় ও সহযোগিতায় যুক্ত।
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের ব্যাপারে আগ্রাসী তৎপরতা জোরদার করেছে চীন। তারা তাইওয়ানের সমুদ্র ও আকাশসীমার কাছে দফায় দফায় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। গত কয়েক দিনে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন। এ নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাইওয়ান ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।