ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

জবির নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্প : জমি অধিগ্রহণ শেষে চলছে উন্নয়ন কাজ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রকি আহমেদ : ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের অবকাঠামোতে যাত্রা শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা ও অবকাঠামো সংকট প্রকট থাকায় শিক্ষার্থীরা হলের দাবিতে আন্দোলন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন : ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। পরের বছর ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের নকশা দেখেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন ক্যাম্পাসের প্রাথমিক এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৯২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আজ শনিবার এ প্রকল্প অনুমোদনের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, পরিকল্পনা ও প্রকৌশল ভবন নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, হ্রদ খনন, পুকুর খনন, ঘাট নির্মাণ, সংযোগ সেতু নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ সারফেস ড্রেন নির্মাণ ও মাস্টারপ্ল্যানের কাজ করার কথা রয়েছে। তবে তিন বছরে প্রকল্পটির প্রায় ১৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ শেষসহ আরো ১২ একর অধিগ্রহণের কাজ চলছে বলে জানা গেছে। চলছে জমির প্রাচীর নির্মাণসহ সামগ্রিক উন্নয়নের কাজও। করোনার জন্য কাজ পিছিয়ে থাকলেও ইতোমধ্যে প্রাচীর নির্মাণের জন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের প্রাথমিক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় মেয়াদ আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্তির পর দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
নতুন ক্যাম্পাসের কাজের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ক্যাম্পাসের ১৮৮ একর জমি অধিগ্রহণসহ বাকি ১২ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। প্রাচীর নির্মাণসহ বাকি উন্নয়নমূলক কাজ প্রক্রিয়াধীন। প্রত্যাশা করছি নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, দেশের অত্যাধুনিক ক্যাম্পাস হবে জবির নতুন ক্যাম্পাস। দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন হলে ছাত্রদের হল ও মাঠসহ যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনাসহ নানা কারণে কাজ একটু পিছিয়ে পড়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। বর্তমান ভিসির সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি। দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন।
নতুন ক্যাম্পাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আবেদনের ফলে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নতুন ক্যাম্পাস করে দিচ্ছেন। নতুন ক্যাম্পাস হলে শিক্ষার্থীদের মাঠ ও হলসহ সব সমস্যা দূর হবে। কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তিনি দ্রুত কাজ বাস্তবায়নের আশা দিয়েছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সহসভাপতি সুমাইয়া সোমা বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ বারবার পরিবর্তন করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ ছাড়া কিছুই হয়নি। কাজ কেন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি তা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। শিক্ষার্থীরা একমাত্র মাঠ বাঁচাতে আন্দোলন করছে। দ্রুত ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন হলে আমাদের সমস্যা দূর হতো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়