ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

ছুটির দিনে রাজধানীর বাজারদর : সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী অস্বস্তিতে ক্রেতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শীত শুরুর আগেই বাজারে এসে গেছে শীতকালীন সবজি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বস্তি মিলছে না দামে। রাজধানীর অধিকাংশ সবজি বাজারে ঊর্ধ্বমুখী। দামের কারণে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ স্পষ্ট। ডিমের দাম কমলেও মাছ, মাংস আর তেলে বিরাজ করছে অস্বস্তি। এদিকে, দেড়শ হাঁকিয়েছে গাজর, মরিচ, টমেটো। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি উঠছে। তাই দামও একটু বেশি। তবে শীত শুরু হয়ে গেলে এ দাম আর থাকবে না। তখন সাধারণ ক্রেতার নাগালেই থাকবে সবজির দাম। মাংসের দামে অস্বস্তি থাকলেও দাম বাড়ার যুক্তি দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে জানা যায়, আড়াইশ গ্রাম মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। মরিচের ঝালের সঙ্গে ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম ইতোমধ্যে ৭০ টাকায় উঠে গেছে। দেশি ছোট রসুণের কেজি ৬০ টাকা হলেও দেশি বড় রসুন ৮০ টাকা। কিন্তু ইন্ডিয়ান রসুণের দাম দেড়শ টাকা। সাদা ও লাল আলুর কেজি ২৫ টাকা। ভর্তার জন্য জনপ্রিয় জাম আলু ৪০ টাকা আর দেশি ছোট ঝুরি আলু ৩০ টাকা কেজি। কচুর মূলেই যেন ভরসা দেখছেন ক্রেতারা। কেজিতে ২৫ টাকায় মিলছে এ সবজি। এদিকে, ধনেপাতা দেড়শ টাকা কেজি হলেও ১০০ গ্রামের দাম ২০ টাকা। লেবুর হালি ২০ টাকা, মাঝারি সাইজের লাউ ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ টাকা পিস, করলা ৫০ টাকা কেজি, পটোলের কেজি ৩৫, শসার কেজি ৪০, বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। গতকালও বেগুনের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঢ্যাঁড়সের দাম ৫০ টাকা কেজি। শিমের ঝাঁজ কমেছে, কেজিতে মিলছে ৮০ টাকায়। কাঁকরোল ৫০, ধুন্দল ৪০, কাঁচকলার হালি ৩০ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা। ফুলকপির দাম এখনো আকাশছোঁয়া। ২০ গ্রাম ওজনের একটি ফুলকপির দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে কথা হয় ক্রেতা মনসুর আলীর সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, কচু, আলু, শাক ছাড়া কিছু খাওয়ার উপায় নেই। এগুলো বাদে সব কিছুর কেজি ৫০ টাকার উপরে। লালশাক ১৫ টাকা আঁটি, ডাঁটা ২০, পুঁই শাকের আঁটি ৩০, কচুশাক ১০, পাটশাক ১৫ টাকা।
মাছের বাজারেও অস্বস্তি স্পষ্ট। নদীর চিংড়ির কেজি ৭০০ টাকা। তবে বড় সাইজের চিংড়ির নাম আরো বেশি- ৮০০ টাকা। লাল চিংড়ি ৪৪০ টাকায় মিলছে। চাষের ট্যাংরা মাছ ৪৬০ টাকা। রুই দিন দিন যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে যাচ্ছে, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আইর মাছ ৬০০, বোয়াল ৪৫০, কাতল ৪০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৪০ টাকা কেজিতে মিললেও নদীর সরপুঁটি ৪০০ টাকা, তবে চাষের দেশি সরপুঁটি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গাজর, মরিচ, টমেটোর দাম কেন কেজিপ্রতি দেড়শ টাকা- জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা সবুজ মিয়া জানান, মরিচের সরবরাহ কম অনেক দিন। তাই দাম কমছে না। তবে টমেটোর দাম গতকালও ছিল ১১০ টাকা। কিন্তু আড়ত থেকে কিনতে হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি। দেশি গাজরের সরবরাহ ও সংরক্ষণে অসুবিধা উল্লেখ করে এ সবজি বিক্রেতা বলেন, হাইব্রিড গাজর বিক্রি করতে হচ্ছে দেড়শ টাকা কেজি।
পাশেই কাদের গোস্ত বিতান নামক দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ডে দাম লিখে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বি?ক্রি হ?চ্ছে ১৫০ টাকা। বেড়েছে পাকিস্তানি ককের দাম। ১৫ দিন আগেও ২৭০ টাকায় মিললেও তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা কেজিতে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১৫ টাকায়। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা দরে। তবে ডিমের দাম কমেছে। একই দোকানে ডিম (লেয়ার) প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়, যা খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ডজন ১৬০ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়