ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ : আলোর মুখ দেখল কর্ণফুলী টানেলের অন্যপ্রাš

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

Í
চট্টগ্রাম অফিস : ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’-এর চট্টগ্রাম আর বেশি দূরে নয়। চীনের সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামও হয়ে উঠবে একটি আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের নগরী। নদীর উভয় তীরেই থাকছে দুটি শহর, যা মূলত একটি নগরীতেই পরিণত হতে যাচ্ছে কিছু দিনের মথ্যে। মাঝখানে কর্ণফুলী নদী থাকলেও এর তলদেশ দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম টানেল সড়কটির নির্মাণকাজ বেশ দ্রুতই এগিয়ে চলেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেলের দ্বিতীয় মুখের খননকাজ শেষ হওয়ায় ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন যেন আরো কাছে এসে গেল। এখন বাকি আছে শুধু সড়ক তৈরি ও অন্যান্য কাজ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে, কিন্তু এর আগেই কাজ শেষ করে টানেল চালুর আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শুরু হওয়া এই টিউব এসে যোগ হয়েছে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে। দ্বিতীয় টিউবের খননকাজ শেষ হলেও স্ল্যাবের কাজ বাকি রয়েছে। আশা করছি, জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা যাবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ। এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা রয়েছে। টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ব্যবহার করে এটি খনন করতে সময় লেগেছে ১০ মাস। এর আগে প্রথম টিউবের খননকাজ করতে সময় লেগেছিল ১৭ মাস। নগর পরিকল্পনাবিদ, অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, টানেলটি চালু হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী যানবাহনকে আর চট্টগ্রাম শহরে ঢুকতে হবে না।  সিটি আউটার রিং রোড হয়ে এই সুড়ঙ্গপথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। যদিও প্রকল্পটির বড় ভূমিকা দেখা যাবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হওয়ার পর। শুধু তাই নয় আনোয়ারায় নির্মাণাধীন অর্থনৈতিক জোনও গতিশীল হয়ে উঠবে এ চানেলের কারণে। চট্টগ্রাম নগর প্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এ সুড়ঙ্গ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারার সিইউএফএল (চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড) ও কাফকো (কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড) কারখানার মাঝামাঝি এলাকায় গিয়ে শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর আনোয়ারা প্রান্ত থেকে টিউবের খননকাজ শুরু হয়। ভার্চুয়ালি খননকাজ উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে নগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে প্রথম টিউবের খননকাজ শেষ হয় গত বছরের ২ আগস্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম  টানেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে প্রতিটি টানেলের প্রশস্ততা ৩৫ ফুট। এতে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও চীনের সরকারি পর্যায়ে টানেল নির্মাণে সমঝোতা হয়। চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর। টানেল নির্মাণের দায়িত্বে আছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) লিমিটেড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়