ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত : সংবিধান মুক্ত নয় জিয়া-এরশাদের প্রেতাত্মা থেকে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বাংলাদেশের সংবিধান এখনো জিয়া-এরশাদের প্রেতাত্মা থেকে মুক্ত হতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানি সংবিধানের আদলে সংবিধানকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছে। একই ধারায় জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করে সংবিধানে সংযুক্ত করার মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছে। এর লক্ষ্য একটাই, পাকিস্তানি আদলে বাংলাদেশেও ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুকে রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘুতে পরিণত করা। বর্তমানে ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার এসেছে কিন্তু জিয়াউর রহমান ও এরশাদের প্রেতাত্মা থেকে এখনো বাংলাদেশের সংবিধান মুক্ত হতে পারেনি।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পুরাতন নগর ভবনের কে. বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হিন্দু সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণের জন্য এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠক রানা দাশগুপ্ত বলেন, মুজিব কোর্ট গায়ে দিলেই সবাই আওয়ামী লীগ হয় না। প্রধানমন্ত্রীর অনেক ভালো কাজ আজ নষ্ট করে দিচ্ছে কারা? কেন দিচ্ছে? গায়ে তাদের কিসের পোশাক? অর্জনগুলো নষ্ট করে দিচ্ছে আর তারপর যদি বলেন কাউয়া ঢুকেছে, আর পাখি ঢুকেছে- হবে? এতে সুযোগ পাচ্ছে কারা? প্রতিক্রিয়াশীলরা।
তিনি বলেন, একাত্তরে পরাজিতরা নির্মূল হয়নি। আজো তারা সক্রিয়। নানা ছদ্মাবরণে সরকারি দলের ভিতরে বাইরে অবস্থান করছে তারা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন রক্ষা করতে হবে। আমাদের স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে। ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুরা এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনোদিন বেইমানি করেনি। রানা দাশগুপ্ত বলেন, ৭২’র সংবিধান রচিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু ৭৫’এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা শুরু হয়। ৭৫’র হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রীয় সংবিধানে সাম্প্রদায়িকীকরণ করতে। রাজনীতি যদি প্রকৃত অর্থে অসা¤প্রদায়িক না হয়, রাষ্ট্র যদি প্রকৃত অর্থে ৭২’র সংবিধানে ফিরে না আসে- তাহলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়া, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
পরিষদের উপদেষ্টা সাংবাদিক প্রীতম দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, চসিক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশুতোষ দে, যুব রেডক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ ইমু, উজ্জ্বল চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হিন্দু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ¦ালন করে উদ্বোধন ঘোষণা করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়