ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

আবুধাবিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপভোগের জন্য প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এবার জমজমাট এ টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ২৩ অক্টোবর। এর আগে ১৭ অক্টোবর বাছাইয়ের উদ্বোধনী দিনেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তাই বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে বর্তমানে ওমানে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ ওমান থেকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা উড়াল দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে পৌঁছে একদিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে পরেরদিন অনুশীলনে নামবে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা। এরপর নিজেদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের ধার পরখ করে নিতে ১২ অক্টোবর আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ১৩ অক্টোবর ফের অনুশীলন করবে টাইগাররা। এরপর ১৪ অক্টোবর দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ১৫ অক্টোবর ওমান ফিরে যাবে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। সেখানে ১৬ অক্টোবর ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে অনুশীলন করবে টাইগাররা। ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়। এরপর ১৯ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় স্বাগতিক ওমানের মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। এরপর ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। এই ম্যাচটি হবে স্থানীয় সময় দুপুর ২টায়। এরপর বাছাইপর্বের বাধা উতরাতে পারলে টাইগাররা যাবে সুপার টুয়েলভে (সুপার ১২)। সেখানে ২৫ অক্টোবর শারজাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। ২৭ অক্টোবর টাইগারদের প্রতিপক্ষ গ্রুপ ‘এ’-র রানার্সআপ দল। ৩ নভেম্বর দুবাইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ৫ ও ৭ নভেম্বর খেলবে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচগুলো হবে দুবাই ও শারজাতে।
এদিকে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতি গ্রুপের চার দলের মধ্য থেকে দুই দল যাবে সুপার টুয়েলভে। যেখানে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ৮টি দেশ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ আগে পেয়েছে। বাছাই পর্বে অংশ নেবে ৮টি দেশ। এই ৮ দেশ থেকে ৪টি এবং র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ৮ দেশসহ ১২ দেশ নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সুপার ১২র ম্যাচ হবে ৩০টি।
তবে যাইহোক বিশ্বকাপ মঞ্চে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে থাকে। তাই এবার আসন্ন সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো খেলতে এবং সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সপ্তাহখানেক আগে ওমানে চলে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মাস্কটে পৌঁছে একদিনের রুম কোয়ারেন্টাইনের পর তিন দিন ধরে অনুশীলনও করেছে তারা ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠে। তাছাড়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাধা উতরে যেতে মরিয়া হয়ে আছে টাইগাররা। ক্রিকেটপ্রেমীরা জানেন, দুজন স্ট্যান্ডবাইসহ মোট ১৭ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন ৮ তরুণ টাইগার ক্রিকেটার। তারা হচ্ছেন- লিটন দাস, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। আর ১৫ জনের সঙ্গে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে দলে আছেন রুবেল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। এ তরুণও প্রথমবার বিশ্বকাপ দলের সঙ্গী হলেন। বিশ্বকাপ মঞ্চে বাংলাদেশ দলের তরুণরা কেমন খেলবে তা দেখতে মুখিয়ে আছেন ভক্তরা। তাছাড়া দলের প্রাণভোমরা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি বর্তমানে আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলছেন। এ টুর্নামেন্ট শেষে সাকিব নিজ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তিনি বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি একই সঙ্গে ক্রিকেটের তিন সংস্করণে একই সময়ে সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার কৃতী গড়েছিলেন। সাকিব মাঠে নামেন ব্যাট-বলকে সঙ্গী করে, আর মাঠ থেকে ফেরেন রেকর্ড সঙ্গী করে। চলতি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর।
এই আসরে সাকিবের সামনে দুটি বিশ্বরেকর্ড গড়ার হাতছানি। ব্যাট হাতে ২৭ রান আর বল হাতে ১০ উইকেট নিতে পারলেই তিনি হয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বেসর্বা। বিষয়টা অনেকের কাছেই চোখ কপালে ওঠার মতো। তবে পরিসংখ্যান বলছে, টাইগার অলরাউন্ডারকে হাতছানি দিচ্ছে ইতিহাসে নিজেকে অনন্য উচ্চতা নেয়ার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ডবুকে ৫৯৩ রান নিয়ে অলরাউন্ডারদের মধ্যে সবার শীর্ষে আছেন ভারতের যুবরাজ সিং। আর ৫৬৭ রান নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে টাইগার অলরাউন্ডার। এ তালিকায় অবশ্য উইকেটের চেয়ে রানকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। তাই উইকেটে পিছিয়ে থাকলেও রানসংখ্যায় সবার প্রথমে যুবরাজ। তবে ব্যক্তিগত ঝুলিতে কমপক্ষে ১০ উইকেট শিকারিরাই থাকছেন এই তালিকায়। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৩৯ উইকেট পেয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। ৩০ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় সাকিব অবস্থান করছেন ৭তম স্থানে। তার উপরে যারা আছেন তাদের প্রত্যেকেই বর্তমানে অবসরে। ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আর ১০টি উইকেট পেলেই সাকিব হয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। একই সঙ্গে টাইগার অলরাউন্ডারের সুযোগ আছে বিশ্বকাপে সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের তালিকায় জায়গা করে নেয়ার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়