বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

৫ দিনে ২ লাখ ৮ হাজার অবৈধ মোবাইল সেট চিহ্নিত

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নতুন নিয়ম চালুর প্রথম ৫ দিনে দেশে ২ লাখ ৮ হাজার ৪টি অবৈধ মোবাইল ফোনসেট চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে না পারলে কয়েক দিনের মধ্যেই সেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ দিনে বিটিআরসির এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) সিস্টেমে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৭টি ফোনসেটকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে উপযুক্ত বৈধতার কাগজপত্র দেখানোয় এর মধ্যে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫৭টিকে বৈধতা দেয়া হয়। আর অবৈধ হিসেবে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪টি। এসব সেট ক্রমান্বয়ে বন্ধ করা হবে।
এদিকে গতকাল বিটিআরসির কর্মকর্তারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মলে মোবাইল ফোনের দোকানে চিঠি বিতরণ করেছেন। এতে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা অনিবন্ধিত সেটগুলো ফেরত নিয়ে মূল্য ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। নইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানানো হয় চিঠিতে।
৩০ জুনের পর রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা সব সেট বন্ধের সিদ্ধান্ত গত ১ অক্টোবর কার্যকর করে বিটিআরসি। চোরাই পথে দেশে আসা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতে গত ১ জুলাই এনইআইআর সিস্টেমটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। প্রত্যেক হ্যান্ডসেটের আইইএমআই নম্বরের সঙ্গে সিমের তথ্য ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে কোনো গ্রাহক কোনো সেট ব্যবহার করছেন সে তথ্যও এনইআইআর সিস্টেমে চলে আসে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত চালু থাকা সব নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ৩ মাস সময় দেয়া হয় নিবন্ধনের।
বিটিআরসি জানায়, মূলত দেশে অবৈধ বা নন-চ্যানেল মোবাইল ফোনের প্রবেশ বন্ধ করতে সরকার এ ব্যবস্থা চালু করে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য অপরাধী শনাক্ত সহজ হবে। এ সিস্টেম চালু হলে চুরি বা ছিনতাই হওয়া ফোনে অন্য সিম দিয়ে নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি, এই সিস্টেম দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের বাজার সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১ অক্টোবর থেকে কোনো গ্রাহক ফোন চালু করতে গেলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন। ফোনটি বৈধ হলে কয়েকটি ধাপ অগ্রসর হলেই সেটি চালু হয়ে যাবে। যদি ফোনটি অবৈধ হয় তাহলে নেটওয়ার্কে চালু করার সময় বার্তা আসবে ও ফোনটি বন্ধ হয়ে যাবে। এই বার্তা ফোন বিক্রেতাকে দেখিয়ে ক্রেতা তার সেটটি বদলে নিতে পারবেন বা টাকা ফেরত নিতে পারবেন।
বিটিআরসি জানায়, কোনো সেট বৈধ কিনা তা জানতে ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে বড় হাতের ‘কেওয়াইডি’ টাইপ করে স্পেস দিয়ে মোবাইলের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে সেটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে কিনা তা জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়