বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

সিনহার বিরুদ্ধে এবার প্লট জালিয়াতি মামলা দুদকের

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, এস কে সিনহা তার নিজ নামে এর আগে রাজউক থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় একটি প্লট বরাদ্দ পান। পরে তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পে প্লটের জন্য আবেদন করান এবং তিনি আরো তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ পান। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ওই তিন কাঠার প্লটটি পাঁচ কাঠার প্লটেও উন্নীত করান। পূর্বাচল থেকে প্লট স্থানান্তর করে উত্তরার সেক্টর-৪, রোড নং-৬, বাড়ি নং-১/এ প্লটটি রাজউক থেকে অনুমোদন করান। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই ওই প্লটের যাবতীয় অর্থ (মোট ৭৫ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন। পরে ওই প্লটে ৯তলা ভবন নির্মাণ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে একজন প্রকৌশলীকে দিয়ে নিরীক্ষা করিয়ে দেখা যায়, ৯তলা ওই ভবন নির্মাণে মোট ৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউকে জমা দেয়া ৭৫ লাখ টাকাসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। এই ব্যয়ের বৈধ কোনো উৎস নেই এবং তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
দুদক সূত্র জানায়, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অবৈধ পন্থায় অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) ঋণের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারকাজ শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর এই মামলায় রায় হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়