বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

সশরীরে পরীক্ষা : প্রাণস্পন্দন ফিরল জগন্নাথের অঙ্গনে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সশরীরে বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় (৫৬৮ দিন) পর শিক্ষার্থীদের আগমনে মুখরিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বিভাগে সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়া হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা জেল থেকে গ্রহণ করা হয়েছে বলে ভোরের কাগজকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম আক্তারুজ্জামান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে বন্ধের দিনেও পরীক্ষা নেয়া হবে। এছাড়া জেলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আদালতে আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করে পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দিলে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে দুজন শিক্ষক গিয়ে তাদের পরীক্ষা নেন।
শিক্ষার্থীদের জেলগেটে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুল আমীন বলেন, আদালতের নির্দেশে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশে দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে আজ (গতকাল) দুই শিক্ষককে জেলখানায় পাঠানো হয়। শিক্ষার্থী দুজন চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের ৪ মার্চ রাত পৌনে ৮টায় সূত্রাপুরের সুভাষ বোস এভিনিউ থেকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য সন্দেহে আতিকুর রহমান ও মাকসুদুর রহমান নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে সূত্রাপুর থানা পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারের সময় ওই দুই শিক্ষার্থী দাবি করে তারা এর সঙ্গে জড়িত নন। শুধু একাডেমিক আলোচনা করছিল। তাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।
এদিকে গতকাল সকাল থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। শূন্য ক্যাম্পাসে হাজারো শিক্ষার্থী। গুচ্ছ গুচ্ছ আড্ডা। যেন হাফ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সবার মুখে মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়। পরে ক্লাস রুমে ঢুকার সময় ফুল দিয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের বরণ করতেও দেখা যায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালসহ শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরীক্ষা দিতে আসা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের (১৫ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল বলেন, প্রথমবারের মতো পরীক্ষা দিলাম। খুবই ভালো লাগছে। আমরা ভর্তি হওয়ার পর করোনায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। পরীক্ষা দিতে এসে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়