বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

শরণার্থীদের দুর্দশার গল্প লিখে সাহিত্যে নোবেল জয়ী গুরনাহ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সাহিত্যে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তানজানিয়ার বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক আব্দুলরাজাক গুরনাহ। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করে। সাহিত্যের এই নোবেলজয়ী পুরস্কারের অংশ হিসেবে ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পাবেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস স্বর্গ (প্যারাডাইজ) প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। উপন্যাসটি প্রকাশের পরপরই তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান। এ উপন্যাসের জন্য তিনি বুকার পুরস্কারেও ভূষিত হন। নোবেল কমিটির সাহিত্য পুরস্কার বিষয়ের প্রধান আন্দ্রেজ ওলসেন বলেন, তিনি হচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা উত্তর-ঔপনিবেশিক লেখক।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে জানানো হয়, ঔপনিবেশিকতার প্রভাব এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি ও মহাদেশগুলোর অপরিমেয় দূরত্বের মাঝে থাকা উদ্বাস্তুদের ভাগ্য অনুধাবনে নিরাপোষ এবং আন্তরিক মনোভাব ও গভীরতা অর্জনের জন্য তাকে এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হলো। ইংল্যান্ডে প্রবাস জীবনযাপনকালে ২১ বছর বয়সে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। সোয়াহিলি তার মাতৃভাষা। তবে ইংরেজি ভাষাই তার লেখার মাধ্যম হয়ে ওঠে। স্বর্গ ছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে আছে বিদায়ের স্মৃতি (১৯৮৭), তীর্থযাত্রীর পথ (১৯৮৮), দত্তাই (১৯৯০), নীরবতার প্রশংসায় (১৯৯৬) সমুদ্র সৈকতে (২০০১), শেষ উপহার (২০১১) ও পারলৌকিক (২০২০)। তার অন্যতম ছোটগল্পের বইটির নাম, আফ্রিকার এক খামারে থাকতেন আমার মা (২০০৬)।
তানজানিয়ায় ১৯৪৮ সালে গুরনাহ জন্ম নেন। ভারত

মহাসাগরের জানজিবার দ্বীপে তিনি বেড়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে শরণার্থী হয়ে চলে যান ইংল্যান্ডে। ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয় জানজিবার। প্রেসিডেন্ট আবেইদ কারুমের শাসনে সেখানে আরব বংশোদ্ভূত নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্কুল শেষ করে আট বছর বয়সে তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। ১৯৮৪ সালে আগে তিনি জানজিবারে ফিরতে পারেননি। শুধু বাবার মৃত্যুর আগে তাকে একবার দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। স¤প্রতি ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের ইংরেজি ও ঔপনিবেশিক-উত্তর সাহিত্যের অধ্যাপনা থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি।
বরাবরের মতোই চিকিৎসা বিভাগের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে গত সোমবার চলতি বছরের নোবেল মৌসুম শুরু হয়। পরের দুই দিনে ঘোষণা করা হয় পদার্থবিদ্যা আর রসায়নের নোবেল। আজ শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ১১ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ডিনামাইট আবিষ্কারক আলফ্রেড নোবেল ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার রেখে যান, বর্তমানে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনারের সমান। তার রেখে যাওয়া ওই অর্থ দিয়েই ১৯০১ সাল থেকে মর্যাদাপূর্ণ এ নোবেল পুরস্কারের প্রচলন করা হয়। এতদিন এ নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার। এবার দেয়া হবে এক কোটি ক্রোনার বা ৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়