বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে তামিম

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৭ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ টুর্নামেন্টের সপ্তম আসরের পর্দা উঠবে। তবে এবার তরুণদের সুযোগ দিতে বিশ্বকাপে না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর তিনি ফেরার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল)। কিন্তু সেখানে খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছেন তামিম। ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পেয়েছেন। এজন্য গতকাল দেশে ফিরে এসেছেন টাইগার ওপেনার। এমনকি বাঁ-হাতের আঙুলে করিয়েছেন স্ক্যানও। রিপোর্টে চিড় ধরা পড়েছে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের আঙুলে। তাই বর্তমানে ঢাকায় নিজের বাসায় অবস্থান করছেন তামিম। সাবধানতার অংশ হিসেবে আপাতত ব্যাটিং বা অনুশীলন থেকে দূরে থাকবেন তিনি। তাছাড়া ইপিএলে অংশ নেয়ার জন্য তামিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তার দল ভাইরাহাওয়া গø্যাডিয়েটর্স। ফেসবুকে দেয়া এক বার্তায় তামিমকে ‘শের-ই-বাংলা’ আখ্যা দিয়ে ভাইরাহাওয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধন্যবাদ শের-ই-বাংলা তামিম ইকবাল। দলে আপনার উপস্থিতিতে গø্যাডিয়েটর্স কৃতজ্ঞ।
আমাদের সঙ্গে আপনি অনেক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন। আপনাকে অবশ্যই আমরা মিস করব। আবার আমাদের দেখা হবে।
এছাড়া এবার নিজের ব্যাটিং ধার পরখ করে নিতে ইপিএলে খেলছেন তামিম। তিনি এলিমিনেটর ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন কাঠমান্ডু কিংস একাদশের বিপক্ষে। এই ম্যাচে আঙুলে চোট পান তামিম।
তাই ঝুঁকি না নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। নেপালের এ টুর্নমেন্টে তামিম প্রথম দুই ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে রানের দেখা পায় টাইগার ওপেনার। ওই দিন চিতান টাইগার্সের বিপক্ষে তামিম ৩০ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা হাকিয়ে ৪০ রান করেন। কিন্তু তিনি এর আগে দুই ম্যাচে ব্যাট গর্জে উঠতে পারেননি। ইপিএলে তামিমের দল ভাইরাহাওয়া এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলেছে। যেখানে তাদের একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। আর ২ ম্যাচে জয় ও অপরটি হয়েছে টাই। যেখানে ২টি ম্যাচে ব্যাট হাতে নিজের সরূপে ফিরতে পারেননি তামিম। বিরাটনগর ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ললিতপুর প্যাট্রিয়র্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন। সেই সঙ্গে সুযোগ বুঝে হাঁকাচ্ছিলেন বাউন্ডারি। কিন্তু ১৬ বলে ১৪ রানে সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশের এ ওপেনিং ব্যাটার। এক কথায় বলা যায়, দীর্ঘদিন খেলায় না থাকায় নেপালি লিগে ব্যাট হাতে গর্জে উঠতে পারছেন না তামিম। তিনি ঘরের মাঠে সর্বশেষ ২০২০ সালে ৯ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এরপর ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ডিপিএলে খেলেছেন। এ টুর্নামেন্টে খেলার সময় গত ১৭ জুন ঘরোয়া ডান পায়ের হাঁটুতে পুরনো চোট জেগে ওঠে। এর ফলে পরে আর খেলতে পারননি তিনি। এমনকি কিছুটা সুস্থ হয়ে জিম্বাবুয়েতে টেস্ট ও ওয়ানডে খেললেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট খেলেননি। একই কারণে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছিলেন না বাংলাদেশ সেরা ওপেনার। তবে যাই হোক পুরনো চোট সারিয়ে তুলতেই ফের নতুন করে চোটে পড়েছেন জাতীয় দলের বাঁ-হাতি ওপেনার তামিম। ফলে নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়েই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে।
এছাড়া ২০০৭ সালে ১ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তার অভিষেক হয় তামিমের। এরপর ২০২০ সালে ৯ মার্চ ঘরের মাঠে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে ২০০৭ সাল থেকে ৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে অংশ নেয়া তামিম এ সংস্করণের বিশ্ব আসরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৫১৪ রান করা তামিমের উপরে আছেন নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৫৬৭ রান করে দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথমে থাকা সাকিব খেলেছেন ২৫টি ম্যাচ। অন্যদিকে তামিম খেলেছেন ২৩টি ম্যাচ। প্রায় ১১৪ স্ট্রাইক রেটে ও সাড়ে ২৪ তামিমের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রয়েছে একটি শতক ও একটি অর্ধশতক রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারে ২টি প্রাপ্তিই ঘটেছে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ওই বছর ওমানের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা পাঁচে অবস্থান করছে। এই ফরম্যাটে ১২৩ রান করে প্রথমে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৯৫ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। তাছাড়া তামিম ইকবাল টেস্ট আর ওয়ানডেতেও নিজেকে মিলে ধরেছেন। এই দুই ফরম্যাটেও তার ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ২০০৭ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তামিমের অভিষেক হয়। ওয়ানডেতে ২১৯ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫১টি হাফসেঞ্চুরি ও ১৪টি সেঞ্চুরির সুবাদে ৭৬৬৬ রান করেছেন. যা বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান।
২০০ সালে ৪ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় তামিমের। তিনি সাদা পোশাকে ৬৪ ম্যাচে ৩১টি হাফসেঞ্চুরি, ৯টি সেঞ্চুরি ও ১টি ডাবলসেঞ্চুরিতে ৪৭৮৮ রান তুলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়