বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম : ইচ্ছেকৃত খেলাপিরা লাভবান

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল অর্থঋণ আদালত। এতেও খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বহু গুণ বেড়েছে। মহামারি থেকে দেশের ঋণগ্রহীতাদের সুরক্ষা দিতে দীর্ঘদিন ঋণখেলাপি হওয়ার পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় দেশে অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা কম। একই সঙ্গে আদালতগুলোর বিচারক সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। নানা কারণে অর্থঋণ আদালতের মামলাজট তৈরি হচ্ছে। এতে খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকারদের হয়রানি বাড়ছে। মামলা ঝুলে থাকায় গ্রাহকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে একদিকে ব্যাংকের মামলা পরিচালনার জন্য যেমন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি সময়মতো মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ব্যাংকের টাকা আটকে যাচ্ছে। ফলে ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, প্রয়োজনে অর্থমন্ত্রীসহ যৌথভাবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে মামলার যানজট কীভাবে কমানো যায় সেবিষয়ে আলোচনা করা উচিত। মামলা যেখানে আছে, সেখানে সেই মামলাকে কীভাবে সহজ করা যায় সেবিষয় নিয়েও আলোচনা করতে হবে।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, মামলা জটের কারণে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা। বছরের পর বছর মামলা ঝুলে থাকলে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে না। এজন্য আইন কীভাবে আরো কঠোর করা যায় এবং কীভাবে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যায়- সেটি ভাবতে হবে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেসব জটিলতা আছে সেসব দ্রুত নিরসন করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়