বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

চাপ এবং রণকৌশলে মারাত্মক ভুল

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
সামরিক বাহিনীর এসব তরুণ মেজররা প্রায় প্রত্যেকেই যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থায় সামরিক নেতৃত্ব গ্রহণের বিষয়টিকেই মৌলভাবে প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। সামরিক প্রাধান্যের ফর্মুলা শেষ পর্যন্ত কর্নেল ওসমানী ট্যাকটিক্যাল কারণে মেনে নিলেন। তাদের চাপে, বলতে গেলে তাদের সন্তুষ্ট রাখার জন্যই দুর্বল চিত্ত বাহ্যত ‘পাপা টাইগার’ কর্নেল ওসমানী তাদের নামে তিনটি ব্রিগেড গঠন করতে বাধ্য হন। মেজর খালেদ মোশাররফের নামে কে ফোর্স, মেজর শফিউল্লাহর নামে এস ফোর্স এবং মেজর জিয়াউর রহমানের নামে জেড ফোর্স গঠন করতে হয়। কে ফোর্স, এস ফোর্স ও জেড ফোর্স- এই মেজরদের আদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত ব্রিগেড। ব্যক্তি বিশেষের নামে গঠিত এসব ব্রিগেড গঠন যেমন ছিল অভিনব তেমনি সামরিক বাহিনীর ইউনিফাইড ‘কার্যকলাপ’ পরিচালনায় প্রতিবন্ধক। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশেও বহু বছর ধরে ব্যক্তি বিশেষের নামীয় এসব ব্রিগেড বাহিনী সামরিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে, যা বাংলাদেশ বা সেনাবাহিনী কারোর জন্যই মঙ্গলজনক হয়নি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে পরবর্তীকালে ক্যু, কাউন্টার ক্যু এবং সেনা শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রম সংঘটনে প্রমাণিত হয়েছে- এসব নামীয় ব্রিগেড গঠনের সিদ্ধান্ত ছিল মারাত্মক রকম ভুল সিদ্ধান্ত। তাছাড়া এই তিন অধিনায়কের কারোই ইতোপূর্বে ব্রিগেড পরিচালনার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রধান সেনাপতি কর্নেল ওসমানী ‘অপারেশন প্ল্যান’ তৈরি করার মূল্যায়নে এসব ব্রিগেড সম্পর্কে বলেছেন, ‘যে কাজের জন্য ব্রিগেড গঠন করা হয়েছিল, তা অর্জনের ক্ষেত্রে এ যাবৎ ব্রিগেডকে ব্যবহার করা যায়নি এবং অদূর ভবিষ্যতেও করা যাবে বলে মনে হয় না।’
আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘বাঙালি সামরিক অফিসারদের
স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়