বিজিএমইএ সভাপতি : বন্ধ মিল চালু হলে ফেব্রিক্সের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আগের সংবাদ

খাদ্য নিরাপত্তাই প্রধান চ্যালেঞ্জ : সরকারি হিসাব মতে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও চালসহ খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়

পরের সংবাদ

একদিনে চাকরির পরীক্ষা এড়াতে সার্কুলার আসছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ দিন নানা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বন্ধ থাকার পর আজ শুক্রবার সকাল-বিকাল সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ১৪টি চাকরির পরীক্ষা পড়েছে। অতীতেও একই দিনে একাধিক চাকরির পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে একদিনেই এতগুলো নিয়োগ পরীক্ষা পড়ায় বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারা জানান, অধিকাংশই একাধিক পদের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু একই সময়ে পরীক্ষা পড়ায় সব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন না। অথচ প্রতিটি পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে ৩০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। আর টিউশনির কষ্টের টাকায় আবেদন করে পরীক্ষা দিতে না পারা খুবই কষ্টের।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মহামারির কারণে অনেকদিন চাকরির পরীক্ষা হয়নি। সে কারণে একসঙ্গে পরীক্ষাগুলো হচ্ছে। তবে চাকরিপ্রার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যাতে এরকম একসঙ্গে পরীক্ষাগুলো না পড়ে এবং সমন্বয় করে তারিখ ঘোষণা করা হয় সেজন্য আমরা একটি সার্কুলার দেব।
অন্যদিকে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন জানিয়েছেন, শুক্রবার একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় তারা নন-ক্যাডারের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেছেন। পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, আপাতত যতদিন চাকরির পরীক্ষা বেশি থাকবে, ততদিন শুক্রবার-শনিবার নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। একদিনে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ থাকায় চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মনে করেন পিএসসি’র চেয়ারম্যান। অন্যান্য পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের সমন্বয়ের জায়গা নেই। এটা যদি থাকত, তাহলে অন্তত সরকারি চাকরির পরীক্ষাগুলোর তারিখ কেন্দ্রীয়ভাবে ঠিক করা যেত।
করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা। বর্তমানে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। রেওয়াজ অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির পরীক্ষাগুলো নেয়া হয়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই দুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ক্লাস-পরীক্ষা হয় না। কিন্তু অতীতের মতো বেশির ভাগ পরীক্ষা শুক্রবার হওয়ায় প্রার্থীরা সমস্যায় পড়ে থাকেন।
আজ শুক্রবার যে ১৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা পড়েছে সেগুলো হলো- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর), সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল), সাধারণ বিমা করপোরেশন, বিসিএস নন-ক্যাডার, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়