সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকানির্বাহ করেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ফরিদ মিয়া (৩৩)। একটি অটোরিকশা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব করেন সাভারের সবুজবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া মাসুদ শেখের সঙ্গে। পরে কৌশলে মাসুদ শেখের অটোরিকশা ছিনতাই করেন ফরিদ। ছিনতাই কাজে বাধা দিলে মাসুদকে খুন করে মরদেহ ফেলে রেখে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় ফরিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে মানিকগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত

ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, আসামি ফরিদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকানির্বাহ করেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি অটোরিকশার। এই উদ্দেশ্যে সাভারের সবুজবাগ এলাকার অটোরিকশাচালক মাসুদ শেখের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন তিনি। এরপর ২ অক্টোবর রাতে কৌশলে মাসুদকে সিংগাইর উপজেলার দাশেরহাটি এলাকায় ডেকে নেন ফরিদ।
সেখানে মাসুদের গলায় গামছা পেঁচিয়ে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। ৫ অক্টোবর মাসুদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায় সিংগাইর পুলিশ। ওই দিনই মাসুদের ভাই মজনু মিয়া বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আসামি গ্রেপ্তারে মাঠে নামে র?্যাব।
গত বুধবার রাতে সাভার থেকে হত্যাকারী ফরিদকে গ্রেপ্তার করে র?্যাব। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, সিংগাইর উপজেলার আলমাস হোসেনের অটোপার্সের দোকান থেকে অটোরিকশা এবং উপজেলার গোবিন্দল এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু, গামছা ও ফরিদের বাড়ি থেকে ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক বলেন, প্রকৃতপক্ষে অটোরিকশাটির লোভে মাসুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফরিদ। পরে সেই অটোরিকশার জন্য মাসুদকে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী খুন করে সেটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে র?্যাবের হাতে ধরা পড়ে সে। ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।