যুক্তরাষ্ট্রে অগ্নিকাণ্ডে এক বাংলাদেশি কিশোরীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা : সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মেরিনা ১০ পৌরসভায়ও প্রার্থী চূড়ান্ত

পরের সংবাদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী : মুহিবুল্লাহ হত্যা ইস্যুতে কঠোর সরকার

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মুহিবুল্লাহ ইস্যুটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সীমান্তে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে সতর্ক রয়েছে সরকার। মানবপাচার, মাদক ও অস্ত্র পাচার রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিতে রোমানিয়া যাওয়ার আগে গতকাল বুধবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ড ঘিরে কক্সবাজারে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। সরকার সেখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেবে না। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়া হবে জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আইনসম্মতভাবে আন্দোলন করছিলেন। কেউ কেউ হয়তো এটা পছন্দ করেননি। হয়তো সে জন্য তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা তাকে মেরেছেন, আমরা তাদের শাস্তি দেব, যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এমনিতে রোহিঙ্গা যারা আছেন, তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিচ্ছি। তাদের নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে নজরদারি কড়াকড়ি করেছি, যাতে মাদক ব্যবসা ও মানবপাচারের তৎপরতা বন্ধ হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এখানে অস্ত্র আসার তথ্য রয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।
আমরা সেখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেব না। অবশ্যই আমরা শক্ত অবস্থান নেব। ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, সে জন্য আমরা বসে থাকছি না। প্রয়োজনে যা যা দরকার, আমরা তা করব। ভাসানচরে সরিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘের যুক্ততার ব্যাপারে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে আছে। যে কোনো মুহূর্তে তারা সেখানে যাবেন।
ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা পালিয়ে যাবে না কেন? এটা তো তাদের দেশ না। বিভিন্ন দেশে তাদের আত্মীয়স্বজন আছে। তারা তাদের ডাকাডাকি করছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তারা সেখানে যাচ্ছে। তো তারা চলে গেলে আমাদের কী? আমরা তো তাদের দাওয়াত দিয়ে আনিনি! রোহিঙ্গাদের ভাসানচর থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এগুলো একটু বাড়াবাড়ি করে বলা হচ্ছে।
তালেবান ইস্যুতে মোমেন বলেন, আমরা এখনো পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের সমর্থনের বিষয়টিতে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। টিউলিপের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেবল আমাদের না ব্রিটেনেও এমন ঘটনা ঘটে। এটা দুঃখজনক। আশা করি, সেই দেশের সরকার বিষয়টিকে দেখভাল করবে। আমাদের দেশ হলে মিডিয়া অনেক শক্ত অবস্থানে থাকত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়