যুক্তরাষ্ট্রে অগ্নিকাণ্ডে এক বাংলাদেশি কিশোরীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা : সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মেরিনা ১০ পৌরসভায়ও প্রার্থী চূড়ান্ত

পরের সংবাদ

গুরুদাসপুরে জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার : রবিশস্য আবাদ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : একটি বিল এবং ৫ কিলোমিটারের সরকারি জলাশয় দখল করে মাছ শিকার করছে স্থানীয় মসজিদ কমিটি। মাছ শিকারের জন্য বিলের পানি নিষ্কাশনের উৎস্যমুখে এবং জলাশয়ের বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের বাঁধ দেয়া হয়েছে। ফলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৫শ হেক্টর রবিশস্য আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা।
স্থানীয়রা জানান, গুরুদাসপুরের নারীবাড়ি উত্তর পাড়ার কান্টাগাড়ি বিলের বুকচিরে চলনালী, কান্দিপাড়া হয়ে চরকাদহ বিলে গিয়ে মিশেছে ওই জলাশয়। এই জলাশয়ের পানিতেই চলনালী-কান্দিপাড়া, কান্টাগাড়ি, পাটপাড়া, সোনাবাজু, চাকলবিলে চাষাবাদ হয়। আবার বর্ষার পানিও ওই জলাশয় দিয়েই নিষ্কাশন হয়। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি ওই জলাশয়ে বাঁশের বাঁধ দিয়ে চলনালী বিল উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। ডাকের ওই টাকা মসজিদের উন্নয়নে ব্যবহার করার কথা বলছে মসজিদ কমিটি। এ বছর স্থানীয় দুলাল নামের এক ব্যক্তি দুই লাখ টাকায় চলনালি বিল ও সরকারি জলাশয় ডাকে নিয়ে পূর্বপাড়ায় বিলের উৎস্যমুখে বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন।
স্থানীয় কৃষক আবুল মিয়া, মাহবুর, মোজাফফরসহ অন্তত ১০ জন অভিযোগ করে বলেন, প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলনালী বিল ডাকে নিয়ে মাছ শিকার করে চরকাদহ মসজিদ কমিটি। বিলের উৎসমুখে বাঁশের বাঁধ দেয়ায় পানি নামতে দেরি হচ্ছে। এ কারণে রবিশস্য চাষাবাদের জন্য তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। মসজিদ কমিটিতে উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার ভাই থাকায় ওই ডাকের বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
চরকাদহ মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিল ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করে মসজিদ কমিটি। তাছাড়া সরকারি ওই জলাশয়ে বা বিলে গ্রামের মানুষ এক সঙ্গে মাছ শিকার করতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। এ কারণে বর্তমান কমিটিও সামাজিকভাবে বিলটি উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করেছে।
চলনালী গ্রামের ইউপি সদস্য এম এ মুনসুর রহমান মিন্টু জানান, চলনালী বিল এবং সরকারি জলাশয়টি চলনালী মৌজাতে হলেও চরকাদহ মসজিদ কমিটি অবৈধভাবে ডাকের মাধ্যমে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করেন। এ নিয়ে ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে চলনালী গ্রামের কৃষকরা অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি মসজিদভিত্তিক হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবুও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গুরুদাসপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল জানান, কোনো বিল বা সরকারি জলাশয় ডাকের অধিকার কারো নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়