বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

শাহজাদপুরে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে অনিয়ম : ইউএনও ও পিআইওর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বদরুল আলম দুলাল, সিরাজগঞ্জ থেকে : শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রামের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই দুই কর্মকর্তার অনিয়মের তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার গালা ইউপি চেয়ারম্যান।
সরজমিন গুচ্ছগ্রাম ঘুরে, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পাঠানো লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বৃহাতকোড়া মৌজায় একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের নির্ধারিত স্থান ঘর নির্মাণের উপযোগী করতে মাটি ভরাটের জন্য ৩০৬ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী মাটি ভরাট প্রকল্পের পিআইসি গালা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন মাটি ভরাট কাজ শেষ করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আযাদ নিজেদের তত্ত্বাবধানে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হিসেবে মোট ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় ৫০টি ঘর নির্মাণের জন্য। নির্মাণের সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেনকে কোনো কাজে সম্পৃক্ত না রেখে ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তরের আগেই ঝড়ে দুটি ঘরের চালা উড়ে গেছে। অধিকাংশ ঘরে সঙ্গে লাগোয়া টয়লেট ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় নির্মাণকৃত ঘর বরাদ্দ দেয়াতেও চেয়ারম্যান প্রদত্ত সুবিধাভোগীর তালিকা না নিয়ে ওই ইউপি সদস্যের দেয়া তালিকা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। যে তালিকায় গালা ইউনিয়ন ছাড়া অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সচ্ছল ব্যক্তিরা রয়েছেন।
গালা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান ওই কমিটিতে ছিল, নিম্নমানের ঘর তোলা হয়েছে কিনা তা সেই বলতে পারবে। আমি কখনো প্রকল্প এলাকায় যাইনি।
অভিযোগকারী ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রকল্প, আমি মাটি ভরাট প্রকল্পের পিআইসি। অথচ ঘর নির্মাণে ও বরাদ্দ প্রদানে আমাকে রাখা হয়নি। ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রতি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ। অথচ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় নিম্নমানের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ঝড়ে দুটি ঘর উড়ে গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ইউএনও ও পিআইওর শাস্তি দাবি করছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আযাদ গুচ্ছগ্রামের অনিয়ম বিষয়ে কথা বলতে রাজি না হয়ে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পটি এখনো চলমান রয়েছে, এ বিষয়ে এখন বক্তব্য দেয়া ঠিক হবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়