বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

রংপুরের ১৮ ইউপি : নৌকার টিকেট পেতে মরিয়া ১৩০ নেতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাসান গোর্কি, রংপুর থেকে : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই রংপুরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এখন ইউনিয়নে ইউনিয়নে চলছে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ আর মোটরসাইকেল শোডাউন। সরকারদলীয় প্রার্থীরা এদিক থেকে বেশ এগিয়ে। নৌকা প্রতীক পেতে মরিয়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার আটটি এবং পীরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে ১৩০ জন প্রার্থী দৌড়ঝাঁপের পাশাপাশি লবিং-গ্রুপিং শুরু করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার জেলার পীরগাছার আট ইউনিয়ন থেকে ৩৩ জন চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের তিন, ইটাকুমারীতে চার, অন্নদানগরে তিন, ছাওলায় ছয়, তাম্বুলপুরে আট, পীরগাছা সদরে এক, কৈকুড়ীতে চার এবং কান্দি ইউনিয়নের চারজন রয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন জানান, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তারা সুপারিশ করে প্রতীক বরাদ্দের জন্য কেন্দ্রে পাঠাবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের এলাকাখ্যাত পীরগঞ্জে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তফসিল ঘোষণার পর তারা নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। কেউ কেউ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শোডাউন করে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। হাট-বাজারে, পাড়া-মহল্লা ও চায়ের দোকানে চলছে জনসংযোগ। পীরগঞ্জের ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ১০টিতে নির্বাচন হবে।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে এ পর্যন্ত ৯৭ সম্ভাব্য প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। তাদের অনেকেই দলীয় কার্যালয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হন। অনেকে নৌকা প্রতীক চেয়ে আবেদনও করেছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে চৈত্রকোল ইউনিয়নে ১৬, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে ১৬, বড়দরগাহ্ ইউনিয়নে ৭, কুমেদপুর ইউনিয়নে ১০, মদনখালী ইউনিয়নে ৬, টুকুরিয়া ইউনিয়নে ৬, শানেরহাট ইউনিয়নে ৮, পাঁচগাছী ইউনিয়নে ১১, চতরা ইউনিয়নে ১১ ও কাবিলপুর ইউনিয়নে ৬ জন আবেদন করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তবে দলের সমর্থন পেলে নির্বাচনে অংশ নেয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন তারা। এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিউর রহমান সফি বলেন, ইউনিয়ন থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সুপারিশের পর কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে প্রার্থীদের চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর দেশে দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়