বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে অগ্নিকাণ্ডে এক বাংলাদেশি কিশোরীর মৃত্যু

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের লং আইল্যান্ডে বাড়িতে আগুন লেগে বাংলাদেশি একটি পরিবারের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তার বড় ভাই, নানা ও নানি। নাসাউ কাউন্টির চিফ ফায়ার মার্শাল মাইকেল উতারো জানান, গত শনিবার ভোরে এলমন্টের মার্শাল স্ট্রিটে প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে আগুন লাগে। এতে মোহাম্মদ আলীর ১৩ বছর বয়সী মেয়ে রিফাত আরা আলীর মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় একটি স্কুলের নবম গ্রেডে পড়ত। রিফাতের ভাই রাইম সাদমান জিম (১৭), নানা শামসুল হক (৮২) ও নানি দিল আফরোজকে (৭১) নাসাউ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান। তাদের মধ্য জিমের অবস্থা গুরুতর। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। শামসুল হকের শরীরের ডান পাশ পুড়ে গেছে। আর দিল আফরোজ অতিরিক্ত ধোঁয়ায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। চিফ ফায়ার মার্শাল মাইকেল উতারো জানান, গত শনিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মোহাম্মদ আলীর বাসায় ছুটে যান।
এছাড়া কাছাকাছি ফ্রাংকলিন স্কয়ার, ফ্লোরাল পার্ক, সাউথ ফ্লোরাল পার্ক, স্টিয়ার্ট ম্যানর, লরেন্স, সিডারহার্স্ট, ভ্যালি স্ট্রিম, হিউলেট, লেকভিউ, ম্যালভার্ন ও মিনিয়লা থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা অ্যাম্বুলেন্স এবং পানিবাহী গাড়ি নিয়ে জড়ো হন। জরুরি সহায়তার প্রস্তুতি নিয়ে ওই এলাকায় একটি হেলিকপ্টারও সে সময় টহল দেয় বলে জানান ফায়ার মার্শাল। পরে গুরুতর অবস্থায় রিফাত, জিম, শামসুল হক ও দিল আফরোজকে বাসার ভেতর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরদিন বিকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু ঘটে।
টানা ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও অগ্নিদগ্ধ হন ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মকর্তা। তাদেরকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান ফায়ার মার্শাল উতারো। অগ্নিকাণ্ডের সময় মোহাম্মদ আলী কাজে ছিলেন। তার স্ত্রী সামিনা শামস আলীও ভোর সাড়ে ৪টায় কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা ছাড়েন। আধ ঘণ্টা পর টেলিফোনে তারা বাড়িতে আগুন লাগার কথা জানতে পারেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় ওজোনপার্কে এক পারিবারিক বন্ধুর বাসায় গিয়ে সামিনা শামসের সঙ্গে দেখা করেন ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান। মোহাম্মদ আলীর বাড়ি বাংলাদেশের চাঁদপুরে। সামিনা শামসের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ দম্পতি লং আইল্যান্ডের ওই বাড়িতে থাকছিলেন। কীভাবে আগুন লাগল, তা ফায়ার সার্ভিসসহ একাধিক সংস্থা খতিয়ে দেখছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়