ফরিদপুর শহর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে শিউলী আকতার (৩২) নামে এক এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে রিপন মোল্লা (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ আদেশ দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায়।
এ মামলার আসামি রিপন আগে থেকেই জেল হাজতে ছিলেন। গতকাল সকালে তাকে জেলখানা থেকে আদালতে আনা হয়। আদালত রিপনের সামনেই রায় ঘোষণা করে।
রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি স্বপন কুমার পাল বলেন, এ হত্যা মামলায় রিপনসহ মোট ৯ জন আসামি ছিলেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এ হত্যা মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, শিউলী আক্তার ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর উত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং তার স্বামী মালয়েশিয়া চাকরি করেন।
তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। শিউলী এসডিসি নামে একটি এনজিওর বোয়ালমারী শাখায় কাজ করতেন।
২০০৯ সালের ১২ জুলাই কাজ শেষ করে শিউলী বোয়ালমারীর দাদপুরে গ্রামে খালা লাইলী বেগমের বাড়িতে আসতেই পথে রাত হয়ে যায়।
ওই সময় খালা লাইলী হারিকেন নিয়ে এগিয়ে দিতে চাইলে তাদের প্রতিবেশী রিপন মোল্লা শিউলিকে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নিয়ে যান। পরে ওই রাতেই বাড়ির পাশে একটি পাটক্ষেতে শিউলীকে গলায় ওড়না পেঁচানো মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় শিউলীর বাবা বারিক মোল্লা বাদী হয়ে পরদিন ১৩ জুলাই রিপন মোল্লাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কেরামত আলী গত ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর ও ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি দুই দফায় রিপন মোল্লাসহ মোট ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।