বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

জোরদার নজরদারি দরকার : সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংককে আরেকটু শক্ত হতে হবে। এই খাতের ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা আছে। ব্যাংকগুলোতে এত তদারকির পরও অনিয়মে ভরপুর। সেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজর নেই বললেই চলে। এজন্য প্রথমে এ খাতে নজরদারি বাড়াতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্র্যাক ব্যাংকের অধ্যাপক ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, প্রয়োজনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে রুলস এন্ড রেগুলেশন আছে, সেগুলোকে কি করা যায়, প্রয়োজনে এসব ঢেলে সাজাতে হবে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অফ সাইড সুপারভিশনে যেসব রিপোর্টগুলো পাঠায় সেগুলো যাচাই করে দেখতে হবে। মাঝে মাঝে অনসাইড সুপার ভিশনেও পাঠাতে হবে।
দেশের আর্থিক খাতে অদক্ষতা, বিশৃঙ্খলা, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের অভাবসহ নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অনিয়মগুলো কমে আসার বদলে দিন দিন বাড়ছে এবং ব্যাংক থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। অনিয়মটা সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। আর্থিক খাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানো না হলে ব্যবসাবাণিজ্য তথা সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ মুহূর্তে আর্থিক খাতে নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো জরুরি। তবে দিন দিন পরিস্থিতি কেন খারাপ হচ্ছে, সেদিকেও নজর দিতে হবে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতের রেগুলেশন তথা নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক এককভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি নিয়মে এ কাজ করতে হয়। একটি হচ্ছে আর্থিক বিধানাবলি এবং অন্যটি হচ্ছে ব্যবস্থাপনা নীতিমালা। এছাড়াও রয়েছে আইন। যেমন- ব্যাংক কোম্পানি আইন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন। রয়েছে রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানির বিধি-বিধান। যখন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এর রেজিস্ট্রেশন নেয়, তখন তারা প্রতিষ্ঠানটির বিধিবদ্ধ নিয়মের আওতায় আসে। এ ছাড়া ব্যাসেল ওয়ান, টু, থ্রি নামে ব্যাংকগুলোর কিছু আন্তর্জাতিক রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক আছে। এ অর্থনীতিবিদ বলেন, আমাদের দেশের নিয়ম-কানুনগুলো মোটামুটি আন্তর্জাতিক মানের হলেও তা পরিপালন না করার এবং দিন দিন এটিকে আরো খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার মানসিকতায় পরিণত হয়েছে। কমপ্লায়েন্স বা পরিপালন করা না হলে এ ব্যাপারে যে শাস্তির বিধান বা প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে, তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়