বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

চান্দিনায় কিশোরীকে হত্যার ৩ দিন পর বাবাকেও হত্যাচেষ্টা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, কুমিল্লা ও চান্দিনা প্রতিনিধি : কিশোরীকে গলা কেটে হত্যার তিন দিন পর বাবা সোলেমান বেপারিকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে জেলার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আহত সোলেমান বেপারি তার মেয়ে সালমা আক্তার হত্যা মামলার বাদী। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, চান্দিনার বসন্তপুর গ্রামের সোলেমান ও তার ভাতিজাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তার ভাতিজারা সোলেমানের স্ত্রীকে মারধর করায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১ অক্টোবর রাতে সোলেমানের মেয়ে সালমাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পুকুরের ফেলে দেয়। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা সোলেমান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবার। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে আহতাবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
সোলেমানের বড় মেয়ে এলমা আক্তার জানান, সোমবার রাত ৮টায় বাড়ির পাশের ইউনুছের দোকানে যাওয়ার পর থেকে বাবাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। মোবাইলে কল দিয়েও বন্ধ পাই। পরবর্তী সময় আমরা থানায় খবর দেই। পুলিশ এসেও বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে চলে যায়। মঙ্গলবার ভোরে গ্রামের এক লোক জমিতে কাজ করতে যাওয়ার পথে বাড়ির পাশের একটি বাগানে বাবার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও গলায় কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেন।
সালমা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজন দত্ত জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বাদী সোলেমানকে নিয়ে থানায় হাজির হতে ওয়ার্ড মেম্বর ইসমাইল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর মেম্বর জানান, সোলেমানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাতে সোলেমানের পরিবার থানাকে অবহিত করলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েও তাকে খুঁজে পাইনি। এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, আহতকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এর আগে তার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়