বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

ক্লিন ফিড চ্যানেল বন্ধ রাখলে ব্যবস্থা নেয়া হবে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিজ্ঞাপন জটিলতায় গত ১ অক্টোবর থেকে বন্ধ রাখার পর বেশ কিছু বিদেশি চ্যানেল আবারো সম্প্রচার শুরু করেছে ক্যাবল অপারেটর ও ডিটিএইচ পরিবেশকরা। এর মধ্যে বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, ডয়েচেভেলেসহ বেশ কিছু সংবাদভিত্তিক চ্যানেল, ডিসকভারি, এনকেএন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফির মতো ডকুমেন্টারি চ্যানেল এবং কয়েকটি ধর্মীয় চ্যানেলও রয়েছে। এসব চ্যানেল বিজ্ঞাপন মুক্ত বা ক্লিন ফিড হওয়ায় সেগুলো চালু করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে ক্লিন ফিড না হওয়ায় দেশে জনপ্রিয় স্টার জলসা, স্টার মুভি, সনি স্পোটর্স, কালার বাংলাসহ স্টার ও সনি গ্রুপের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার শুরু হয়নি। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানোর ঘোষণা দেন। ক্লিন ফিড হওয়া সত্ত্বেও অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো চ্যানেল সম্প্রচার না করলে অপারেটরদের বিরুদ্ধে বুধবার (আজ) থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিজেসি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ পদক্ষেপের জন্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান। ট্রাস্ট্রি বোর্ড চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক ও সদস্যদের মধ্যে সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, রাশেদ আহমেদ, দীপ আজাদ, মানস ঘোষ, হারুন-অর রশীদ, সাইফ ইসলাম দিলাল, ফাহিম আহমেদ, নূর সাফা জুলহাস, রাহুল রাহা, মামুনুর রহমান খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন না মেনে অপারেটর ও পরিবেশকরা উল্টো সেটির বাস্তবায়ন ব্যাহত করতে চাইছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি- বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা,

এনএইচকে, ফ্রান্স ২৪, রাশিয়া টুডেসহ প্রায় ২৪টি চ্যানেলের ক্লিন ফিড আসে। কিন্তু সেগুলোও অনেকে চালাচ্ছেন না। এটি ক্যাবল অপারেটরের লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ। তারা কিন্তু সে অপরাধে অভিযুক্ত হতে পারেন।
একই অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমরা একটি পরিবার। আমরা সবাই মিলে এই ক্লিন ফিড বাস্তবায়ন করব। বিদেশি বিজ্ঞাপন এবং বিদেশি সব কিছুই আমাদের নির্ধারিত মূল্য ও আইন অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমি কানাডার টরেন্টো, মন্ট্রিল, অটোয়া, ভ্যানকুভার কোথাও একটা নিউজ দেখতে পারলাম না টাকা দেয়া ছাড়া। আর বাংলাদেশে মাত্র ৩০০ টাকা লাগে ১০০টি চ্যানেল দেখতে। এভাবে বাংলাদেশ চলবে না।
জানা গেছে, সরকারের কাছ থেকে ডাউন লিংকের অনুমতি নিয়ে ৪টি পরিবেশক প্রতিষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করে। এর মধ্যে জি নেটওয়ার্ক, সনি গ্রুপ, টেন স্পোর্টস ও ডিসকভারি চ্যানেল সম্প্রচার করে মিডিয়া কেয়ার লিমিটেড। বেঙ্গল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া করে সিএনএন, কার্টুন নেটওয়ার্ক। জাদু ভিশন করে স্টার জলসাসহ অন্যান্য চ্যানেলগুলো। কালারস নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে পরিবেশন করে ওয়ান এলাইন্স। এরা সবাই ব্রডকাস্টারদের কাছ থেকে বিদেশি চ্যানেল ‘ডাউন লিংক’ করার পর ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়