বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

কুতুবদিয়া : ৯ মাসে পানিতে ডুবে ২২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কুতুবদিয়ায় শুধু পুকুর বা পানিতে ডুবে গত ৯ মাসে ২২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসেই মারা গেছে ৯ শিশু। এর মধ্যে গত শুক্রবার একদিনেই পানিতে ডুবে ঝরেছে ৩ শিশুর জীবন। এভাবেই প্রায় প্রতিনিয়িত পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে দ্বীপের অবহেলিত পরিবারের শিশুরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র থেকে জানা যায়, গত এক মাসেই পানিতে ডোবা ৭ শিশুকে আনা হয়। এদের সবাই স্পট ডেথ ছিল। এছাড়া পানিতে ডোবা আরো দুই শিশু প্রাণে বেঁচে যায়। চলতি মাসের প্রথম দিনেই ৩ শিশুর মৃত্যু হয় পুকুরে ডুবে। এছাড়া ৪ অক্টোবর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর উত্তর ধুরুং আকবরবলী পাড়ায় সামিয়া (২৮ মাস), ২৫ সেপ্টেম্বর উত্তর কৈয়ারবিলের আরমান (৩), ১৪ সেপ্টেম্বর বড়ঘোপ বদাইয়া পাড়ার রাফি (১৮ মানস), ১৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ধুরুং আলী আকবর সিকদার পাড়ার নাজিফা (২), ৯ সেপ্টেম্বর লেমশীখালী আফাজ উদ্দিন সিকদার পাড়ার মুস্তাফিজুর (৬)।
এছাড়া উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে একই পরিবারে দুই শিশু পুকুরে ডুবে মারা গেলে হাসপাতালে না এনে স্থানীয়ভাবে দাফন করে বলে ওই শিশুর আত্মীয় সালমা জানান। ১৯ আগস্ট দক্ষিণ ধুরুং শাহনেওয়াজ (৭), ২৬ আগস্ট উত্তর ধুরুং বাঁকখালীর জুবাইর (৩০ মাস), ২১ মে ফাহাদ ও রাহিম নামের দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
গত জানুয়ারি মাসে সামিয়া (৪), তাসফি (১৭), ছাবিদা (১৮ মাস), আজিম (১৬ মাস) ও জারিফ (২) নামের ৫ শিশুর মৃত্যু হয় পানি ডুবে।
দক্ষিণ ধুরুং আলী আকবর সিকদার পাড়ার এনাম জানান, মা-বাবার অবহেলার কারণেই আমাদের সন্তানরা পানিতে ডুবে মরছে। ভোটের চারদিন আগে তার নিজের দুই বছর বয়সি মেয়ে পুকুরে ডুবে মারা যায়।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, বেশির ভাগ পরিবারে অপরিকল্পিত পুকুর বা ডোবা খনন আর অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবেই পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর হার ক্রমেই বাড়ছে কুতুবদিয়ায়। এটি রোধে মা-বাবার সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান বলেন, পানিতে ডুবে এখানে আসা শিশুদের সিংহভাগই ৫ বছরের নিচে। এসব শিশু মায়েদের বা অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে থাকার কথা। মা-বাবার অবহেলা আর সচেতনতা না থাকায় এ মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বাড়ির পুকুরগুলোতে নিরাপত্তা ঘেরা বেড়া থাকা জরুরি। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিশুবান্ধব বিভিন্ন সংগঠনের এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়