বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

আর্থিক ক্ষতির মুখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মর্যাদার লড়াই অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৮ ডিসেম্বর। তবে এবারের অ্যাশেজ হওয়া নিয়ে চলছে শঙ্কা। কারণ ইংল্যান্ডের বড় তারকারা অ্যাশেজে খেলতে চান না। অস্ট্রেলিয়ায় এখন করোনার কারণে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। আর এ বিধিনিষেধের কারণে এখন ইংলিশ ক্রিকেটাররা তাদের পরিবারের সদস্যদের তাদের সঙ্গে নিতে পারবেন না। তাছাড়া ক্রিকেটারদের থাকতে হবে কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে। এসব কারণে জো রুট, জস বাটলারের মতো খেলোয়াড়রা এখন খেলতে যেতে চান না।
এতদিন শোনা যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের বড় তারকারা যদি না খেলতে যান তাহলে অন্যদের পাঠানো হবে। তবে পরশু দিন নিজেদের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে একটি আলোচনা করে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড। আর এ আলোচনার পর তারা জানায় বড় তারকারা না গেলে অ্যাশেজেই খেলতে যাবে না ইংল্যান্ড। ফলে এখন অ্যাশেজ নিয়ে বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে ইংল্যান্ড হঠাৎ করেই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। ক্রিকেটারদের নিয়ম-নীতির ব্যাপারে একটু ছাড় দেয়ার কথা দীর্ঘদিন বলে আসছিল তারা। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে ওয়াশিংটনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন। তবুও অস্ট্রেলিয়া একটুও নরম হয়নি। তাই ইংল্যান্ড বাধ্য হয়ে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন অস্ট্রেলিয়া যদি শেষ পর্যন্ত নরম না হয় তাহলে অ্যাশেজ মাঠে গড়াবে না।
এতে করে বড় রকমের আর্থিক ক্ষতি হবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যদি অ্যাশেজ সিরিজ মাঠে না গড়ায় তাহলে তাদের ১৪৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার ক্ষতি হবে। ক্ষতির পরিমাণটা এত বেশি যে, এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরবর্তী সময় বেগ পেতে হবে অজি বোর্ডকে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কঠোর হয়ে যাওয়ার পর এখন একটু নড়েচড়ে বসেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। তারা জানিয়েছে তারা বিষয়টি আবার ভেবে দেখবে। সার্বিক অবস্থা দেখে এখন যা মনে হচ্ছে তাতে করে বলা যায় অস্ট্রেলিয়াই শেষ পর্যন্ত নরম হবে। এছাড়া তাদের সামনে কোনো উপায়ও থাকবে না। যদিও অস্ট্রেলিয়া প্রথম থেকে একটুও ছাড় না দেয়ার মানসিকতা দেখিয়েছিল। তারা ভেবেছিল ইংল্যান্ড হয়তো বিষয়টি মেনে নেবে। কিন্তু হঠাৎ করে যে ইংলিশ বোর্ড এমন কঠোর হয়ে যাবে এটি তারা ভাবতে পারেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়