বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় আফ্রিকা

আগের সংবাদ

যে কারণে সাংসদদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ হয় না

পরের সংবাদ

অনিয়মে ডুবছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান : তহবিল সংকট > বিনিয়োগ কমেছে, দেনা বেড়েছে > কমেছে মুনাফা ও মূলধন > বেড়েছে ঋণখেলাপি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অনেক আগেই ছিল। আর এসব প্রতিষ্ঠানে সুশাসনের ঘাটতিও ছিল মারাত্মক। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর এ খাতের দায়িত্ব থাকলেও তা যথাযথভাবে পালন হয়নি। এর সঙ্গে গত প্রায় দুই বছরে করোনার কারণে খেলাপি ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা প্রায় ভেঙে পড়েছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি এ খাতের আইন ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বর্তমানে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনিয়মগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, নজরদারির অভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি খুবই খারাপ অবস্থায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরো তদারকি বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও আইপিডিসি ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের অনিয়মের কারণে পুরো খাতের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে শেয়ারবাজার ভালো থাকায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পারফরম্যান্স খুবই ভালো। কিন্তু কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ খাতকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি আমরাও এ বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করছি।
তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানই খারাপ নয়। করোনাকালীনও আইপিডিসি ভালো লাভ করেছে এবং খেলাপি ঋণ অন্য অনেক ব্যাংকের চেয়ে কম আছে। তিনি আরো বলেন, এ খাতকে আরো ভালো করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে কর্মকর্তাদের আরো স্কিল ডেভেলপ করা যায়, ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে এ খাত সম্পর্কে মানুষকে আরেকটু ভালোভাবে জানানো এবং রেগুলেটরি বডির সঙ্গে একত্রে কাজ করে কীভাবে গভর্নেন্স আরো ভালো করা যায়। এগুলো করা গেলে সাধারণ

গ্রাহকের যে আস্থা নষ্ট হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মালিকপক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম-জালিয়াতি আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারির অভাবে ধুঁকছে দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিয়মবহির্ভূত বিতরণ করা ঋণ অনেকেই আদায় করতে পারছে না। ফলে করোনা মহামারির সময় বিশেষ সুবিধা দেয়ার পরও এ খাতে লাগামহীনভাবে বেড়েছে খেলা?পি ঋণ। তারল্য সংকটে প্রতিনিয়ত দুর্বল হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেকে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। এ অবস্থায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। আবার প্রতিষ্ঠানগুলোয় হিসাবের গোঁজামিল, অবৈধ লেনদেন, অনুমোদন ছাড়া শেয়ারবাজারে অর্থ বিনিয়োগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কিছু পরিচালক নিয়ম ভেঙে কোম্পানির অর্থ নিজের পকেটে ভরেছেন।
দেশে বর্তমানে ৩৫টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে কয়েকটি বাদে বেশির ভাগের অবস্থাই খারাপ। খারাপ প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম উদাহরণ হলো পিপলস লিজিং। এ প্রতিষ্ঠানকে অবসায়নের (বন্ধের প্রক্রিয়া) জন্য অবসায়ক নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও বিআইএফসিতে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। অত্যন্ত নাজুক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ তদারকিতে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে মন্দ ঋণ এ খাতের পরিস্থিতিকে এমনভাবে প্রভাবিত করেছে, এটি গত এক দশকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা করে যে তথ্য দিয়েছে, তাতে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোতে হিসাবের গোঁজামিল, অবৈধ লেনদেন, অনুমোদন ছাড়া শেয়ারবাজারে অর্থ বিনিয়োগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কয়েকজন পরিচালক নিয়ম ভেঙে কোম্পানির অর্থ কুক্ষিগত করেছেন। উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের লেজার ব্যালেন্সে ৩ হাজার ৮০২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা রয়েছে। অথচ ব্যাংকটির বার্ষিক হিসাব বিবরণীতে ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা লিজ অর্থায়ন বা ঋণের তথ্য আছে। আবার ১ হাজার ৮৭৭ কোটি ২১ লাখ টাকার মেয়াদি আমানত দেখানো হয়েছে আর্থিক বিবরণীতে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ হাজার ৬০৩ কোটি ২০ লাখ টাকার মেয়াদি আমানতের তথ্য পেয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের এমডি ও কয়েকজন পরিচালক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির আমানত এবং ঋণের তথ্য আড়াল করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে গোপনে অর্থ দেয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া শিরোনামে প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বের করে নেয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য পেয়েছে। এদিকে ঋণের আবেদন না নিয়েই এবং কোনো ধরনের জামানত ছাড়াই অস্তিত্বহীন ২০ প্রতিষ্ঠানের নামে ফাস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আবার ওই কোম্পানির সাবেক এমডি রাসেল শাহরিয়ারের এক স্বাক্ষরেই ৭০০ কোটি টাকা বের হয়ে যায়। আর এসব অপকর্মে সহযোগিতা করেছেন রিলায়েন্স ও এনআরবি গেøাবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি (বর্তমানে বিদেশে পলাতক) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদক অনুসন্ধান করে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। তার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ অনেকেই জড়িত থাকার বিষয়টিও সামনে এসেছে। ঘুষ নিয়ে হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য চাপা দেয়ার অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব থেকে নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে অন্য দায়িত্বে বহল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেন আদালত। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে, যারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় কী ধরনের অনিয়ম হয়েছে, সে বিষয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আর্থিক খাতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেসব অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।
তহবিল সংকট : আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট তহবিলের ৮৪ শতাংশই আসে ব্যাংক থেকে। বাকি ১৬ শতাংশ সঞ্চয়ীদের আমানত ও অন্যান্য উৎস থেকে আসে। অর্থাৎ তহবিলের জন্য তাদের ব্যাংকের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। লিজিং কোম্পানিগুলো ব্যাংক থেকে স্থায়ী আমানত, মেয়াদি আমানত ও কলমানির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করত। দুই বছর ধরে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে নেয়া আমানত ও কলমানিতে নেয়া ধার সময়মতো পরিশোধ করতে পারছিল না। পরে বাধ্য হয়ে দফায় দফায় এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তারপরও তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।
বিনিয়োগ কমেছে, দেনা বেড়েছে : ২০১৯ সালে মোট ঋণ ও লিজ ছিল ৬৭ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। গত বছরের তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ২০ কোটি টাকায়। অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ৮১০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকায়। আমানত ৪৫ হাজার ১৯০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। শেয়ারহোল্ডার ইকুইটি ১১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা থেকে কমে ৯ হাজার ৯০ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে বিনিয়োগ ও মূলধন কমেছে। কিন্তু দেনা বেড়েছে। ফলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরো দুর্বল হয়েছে।
কমেছে মুনাফা : আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের বড় অংশই আসে সুদ বা মুনাফা থেকে। এ খাতে আয় ভয়াবহভাবে কমে গেছে। ২০১৯ সালে সুদ আয় ছিল ৮ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। গত বছর এ খাতে আয় কমে হয়েছে ৬ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। আমানতের বিপরীতে সুদ পরিশোধের পর নিট আয়ও কমে গেছে। তবে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিপরীতে আয় বেড়েছে। এর মধ্যে সুদবহির্ভূত আয় ৪৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৫৯০ কোটি টাকা হয়েছে। সব মিলে আলোচ্য সময়ে মোট পরিচালন আয় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা থেকে কমে ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা হয়েছে। অথচ পরিচালন ব্যয় এক হাজার ৬০ কোটি টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। নিট মুনাফা ২০১৯ সালে ছিল ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। গত বছর হয়েছে ৬৪০ কোটি টাকা। এক বছরে মুনাফা কমেছে ৫০ শতাংশ। গত জুন পর্যন্ত হিসাবে পরিচালন মুনাফা কমেছে ৩২ শতাংশ।
কমেছে মূলধন : মৌলিক মূলধন ২০১৯ সালে ছিল ১১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। গত বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে মূলধন কমেছে ২৭ শতাংশ। তবে প্রচ্ছন্ন মূলধন বা বিভিন্ন বন্ডে বিনিয়োগ ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা হয়েছে।
বাড়তি খেলাপির থাবা : ২০১৯ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৪০ কোটি টাকা। গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫০ কোটি টাকা। গত জুন পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবে খেলাপি ঋণ ১১ হাজার কোটি টাকা ছড়িয়ে গেছে। আলোচ্য সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। খেলাপি লিজ ও ঋণের হার ছিল ২০১৯ সালে সাড়ে ৯ শতাংশ। গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশে। ২০১৯ সালে প্রভিশনের প্রয়োজন ছিল ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ বাড়ায় ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৮০ কোটি টাকায়। প্রভিশন সংরক্ষণ ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা হয়েছে। প্রভিশন ঘাটতি ৭৪০ কোটি টাকা। গত জুনে তা সামান্য বেড়েছে। খেলাপি ঋণ বাড়ায় সম্পদের বিপরীতে আয় কমে গেছে। ২০১৯ সালে এ খাতে আয় ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর তা আরো কমে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে মূলধনের বিপরীতে আয় ১০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। গত জুনে এ দুই খাতেই আয় সামান্য কমেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়