কাগজ প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দৈনিক নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে। রবিবার শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নামলেও গতকাল তা আবারো ৩ শতাংশ থেকে বেড়েছে। তবে গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচেই রয়েছে। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২১টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ৯২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭৯৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ৮৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, মৃত্যু হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ৬১৭ জন রোগী শনাক্ত ও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দিন শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। শনিবার ৫৮৯ জন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয় ২৪ জনের। শুক্রবার ২১ জনের মৃত্যু ৮৪৭ জন রোগী শনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৩ ও ৮৬০ জন। বুধবার ১৭ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ১৭৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। মঙ্গলবার ৩১ জনের মৃত্যু আর রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ৩১০ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ৩৮ তম সপ্তাহের (২০ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর) তুলনায় ৩৯ তম সপ্তাহে (২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, রোগী শনাক্ত ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ, সুস্থতা ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মৃত্যু ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কো-মরবিডিটি নিয়ে মৃতের হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। বেড়েছে নারীদের মৃত্যু হারও। নারীদের মৃত্যু হার ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ আর পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ৩৮ তম সপ্তাহে মৃত ১৮৯ জনের মধ্যে কো-মরবিডিটি ছিল ১১০ জনের। শতকরা হিসেবে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ৩৯তম সপ্তাহে ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে কো-মরবিডিটি ছিল ৮৮ জনের। শতকার হিসেবে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ৪১৮টি নমুনা। রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৫৯১ জনের। এর মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৬৯২ জন আর নারী ৯ হাজার ৮৮১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ জন আর নারী ১০ জন। সরকারি হাসপাতালে ১৬ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বয়স বিবেচনায় ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫ জন ও সত্তরোর্ধ্ব ৫ জন। বিভাগ বিবেচনায় ঢাকা বিভাগের ৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ১ জন, খুলনা বিভাগের ১ জন, বরিশাল বিভাগের ১ জন, সিলেট বিভাগের ৩ জন। প্রসঙ্গত; দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি বছরের ৫ অগাস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে- যা মহামারির মধ্যে একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।