তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

মো. শরীফুল হক মেয়র, ঘোড়াশাল পৌরসভা > উন্নয়নের রোল মডেল ঘোড়াশাল পৌরসভা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ

মাখন দাস, নরসিংদী থেকে : ইতিহাস, প্রাচীন সভ্যতা আর ঐতিহ্যের ধারক নরসিংদী জেলা। এ জেলায় ৬টি পৌরসভার মধ্যে যে সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে ঘোড়াশাল পৌরসভা অন্যতম। দেশের কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ঘোড়াশাল পৌরসভা। এক সময় নানান অবহেলায় জর্জরিত ছিল এ জনপথ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত পাল্টে গেছে ঘোড়াশাল পৌরসভার প্রেক্ষাপট। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে আজ আলোয় আলোকিত ঘোড়াশাল পৌরসভা।
এ সময় রাস্তাঘাটের বেহাল দশা ছিল। আজ ৪০ কিলোমিটার পিচঢালা রাস্তা, প্রায় ২২.৫০ কিলোমিটার আরসিসি রাস্তা, ২০ কিলোমিটার সলিং রাস্তাসহ ডাম্পিং স্টেশন, ঘোড়াশাল পৌর অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার, ঘোড়াশাল পৌর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণসহ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রায় ১৬ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, পৌর শ্মশানঘাট, হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে আরসিসি ঘাটলা নির্মাণ, স্ট্রিট লাইট, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো।
এসব কাজের পেছনের কারিগর ঘোড়াশাল পৌরসভার কৃতী সন্তান বর্তমান পৌর মেয়র আলহাজ মো. শরীফুল হক। ২০১১ সালে ঘোড়াশাল পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রথমবার তিনি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সাড়ে ২৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় বিগত ১০ বছরে উন্নয়ন করে পৌর এলাকাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি।
পলাশের সাংসদ ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ ও পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেনের সহযোগিতায় তিনি রাত-দিন পৌর এলাকাকে সুন্দর করতে এবং মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে কাজ করে

যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দিয়ে তার রাজনীতির হাতেখড়ি। ৮০র দশক থেকে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগে। বর্তমানে ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা মহামারিতে যখন মানুষ আপনজনের লাশ সৎকার না করে পালিয়ে গেছে তখন পৌর মেয়র শরীফুল হক করোনার ভয়কে পেছনে ফেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৃত মানুষ সৎকারে সহায়তা করেন। ২০১১ সালে ঘোড়াশাল পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন।
পৌরবাসীর সুবিধার জন্য এলাকায় বিশালাকার একটি ঈদগাহ স্থাপন করেছেন। পৌরবাসীর অনুষ্ঠানের জন্য নিজস্ব পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় তিনি ঘোড়াশাল পৌর আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নামে একটি বিশাল কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করেন। তারই পাশে শিশুদের খেলাধুলা এবং পৌরবাসীর হাঁটাচলার জন্য একটি পার্ক বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে জনগণের সুবিধার্থে ঘাট নির্মাণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া পৌর এলাকার বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার জন্য ১১০ শতাংশ জমি কিনে ডাম্পিং স্টেশনের ব্যবস্থা করেন।
আটিয়া ঘোড়াশাল পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠদান করা হচ্ছে। ঘোড়াশাল পৌরসভায় বিভিন্ন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, ট্রাকস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, গুদারাঘাট এবং জনবহুল এলাকায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, সুপেয় পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে তিনটি পানির পাম্প হাউজ নির্মাণ, প্রায় ২০ কিলোমিটার পানির সরবরাহ পাইপলাইন স্থাপন, পৌর এলাকার বিভিন্ন দরিদ্র পরিবারের মধ্যে প্রায় ১২০টি অগভীর নলকূপ স্থাপন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬ হাজার ৫০০টি সড়কবাতি স্থাপন, করোনাকালীন ৩৫ হাজার হতদরিদ্রের মাঝে চাউলসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, মশক নিধন কার্যক্রম, অসহায় নারীদের স্ব্াবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন সময়ে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন বিতরণ, দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন শিক্ষা সহায়তা দেয়াসহ, হতদরিদ্রের মধ্যে এককালীন অনুদান দেয়া, পৌর ভবন ও ঘোড়াশাল বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জননিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ঘোড়াশাল পৌর ঈদগাহ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শিশুদের বিনোদনের জন্য ঘোড়াশাল পৌর শিশু পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আলহাজ মো. শরীফুল হক বলেন, পুনরায় মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঘোড়াশাল পৌরসভাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়