তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

মুন্সীরহাট গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট : জনবল ও ট্রাস্টির অবহেলায় বন্ধের পথে তাঁত প্রকল্প

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফুলগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি : জনবল ও ট্রাস্টির সমস্যার কারণে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলার ‘মুন্সীরহাট গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট’। দীর্ঘদিন শ্রমিক, কাঁচামাল সরবরাহ ও আর্থিক সহায়তা না থাকায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির তাঁত শিল্প। বর্তমানে শুধু তাঁত শিল্প প্রকল্পের আওতায় ১টি চরকায় ৩ জন নারী শ্রমিক এবং সঞ্চয় ও ঋণ প্রকল্পের আওতায় ৪ জন পুরুষ ও নারী জনবল রয়েছে। অথচ ট্রাস্ট উদ্বোধনের প্রথম থেকে বলা হয়েছিল ২০ জন নারী শ্রমিক ৮টি তাঁত ও ১২টি চরকায় কাজ করা হবে। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া থাকলেও বৃদ্ধি না পেয়ে বরং বন্ধের উপক্রম হচ্ছে। বাংলাদেশে এই ট্রাস্টের আরো ৮টি শাখা রয়েছে তার মধ্যে খুবই অবহেলিত রয়েছে মুন্সীরহাট গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট। এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছিল তাঁত শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে ব্রিটিশ সরকারের উৎপাদিত পণ্য ও বস্ত্র পরিহার করে দেশীয় তৈরি পণ্য ও বস্ত্র ব্যবহারের উদ্দেশ্যে।
গান্ধি আশ্রম ট্রাস্ট নামক স্বায়ত্তশাসিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার নতুন মুন্সীরহাট বাজারের পাশে অবস্থিত। ট্রাস্টের সূত্রে জানা যায়, ১৯২১ সালের ৩১ আগস্ট নতুন মুন্সীরহাট (তৎকালীন বীরচন্দ্র বাজারে) খাদি প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের মানবতাবাদী নেতা মাহাত্মা গান্ধী। শুরু থেকে আধা পাকা টিন শেড, একটি তাঁত ঘর, একটি ট্রেনিং সেন্টার ও সাত কক্ষবিশিষ্ট একটি অফিস ঘর নিয়ে চলছে কার্যক্রম। জনহিতেষী এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি জয়াগে অবস্থিত।
সরজমিনে জানা যায়, মুন্সীরহাট গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের প্রকল্পগুলো আর্থিক সমস্যার কারণে কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় উপজেলার অনেক গ্রামীণ নারী শ্রমিক বেকারত্ব সময় কাটাচ্ছে।
তাঁত প্রকল্পের বিভিন্ন কাঁচামাল সরবরাহ না থাকায় চরকাগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। এতে তাঁত কলের যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়েছে এবং নতুন শ্রমিকও নিয়োগ হচ্ছে না। বর্তমানে শেষ একটি চরকাতে টুকিটাকি কাজ চলে। কয়েকটি গামছা ও থান কাপড় ব্যতীত অন্যকিছু তৈরি হয় না। এই ট্রাস্টে বর্তমানে মানবিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্প (সঞ্চয় ও ঋণ কার্যক্রম) চালু রয়েছে। যেখানে ৪ জন পুরুষ ও নারী জনবল রয়েছে। এই হস্তচালিত তাঁত প্রকল্প থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ মিটার থান কাপড় ও ৪০টি গামছা তৈরি হয়।
ট্রাস্টের এরিয়া ম্যানেজার প্রফুল্ল চন্দ্র ভৌমিক জানান, সরকার ও ট্রাস্টি বোর্ডের আর্থিক সহযোগিতা পেলে সব কার্যক্রম বৃহৎভাবে পরিচালনা করা যেত।
এতে উপজেলার গ্রামীণ মহিলারা আর্থিকভাবে লাভবান হতো। শুরুতেই চরকা ও তাঁত প্রকল্প থেকে গামছা, থান কাপড়, থ্রি-পিস, বেড় কভার, চাদর, ওড়না, পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার কাপড় তৈরি হতো। আর্থিক সংকটের কারণে ঋণ কার্যক্রম প্রকল্পটিও সীমিত করে রাখা হয়েছে। সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প গত ৩০ এপ্রিল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এটি পুনরায় চালু করার জন্য আবেদন করলেও এখনো কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়