তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

মহম্মদপুরের উদ্যোক্তা আলাউদ্দীন : খামারে সফলতার পাশাপাশি হয়েছে অন্যের কর্মসংস্থান

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : মহম্মদপুরে খামার বাড়ি তৈরি করে নিজের সফলতার পাশাপাশি অন্যেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষিত যুবক মো. আলাউদ্দীন। তিনি উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামের মো. কুটি মিয়া ফকিরের বড় ছেলে। আলাউদ্দীনের স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করা। আর তাই পড়াকালীন সময় থেকেই ২০১২ সালে তিনি মা বস্ত্রালয় নামে গার্মেন্টসের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে ২০১৭ সালে মা মোবাইল শো-রুমের দোকান দেন। এরপর একে একে মুরগির ফার্ম, গরুর ফার্ম ও উন্নত জাতের মাছের খামারসহ তৈরি করেছেন খামার বাড়ি। এই খামার বাড়ি থেকে অর্থনৈতিকভাবে নিজের সফলতা অর্জনের পাশাপাশি এলাকার পাঁচ থেকে সাতজন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
২৮ বছরের এই যুবক তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে ২০১৬ সালে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় প্রথমে দুই হাজার মুরগি দিয়ে গড়ে তোলেন খামারটি। পরে নিজের ৬০ ও ২০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে পাঁচ হাজার স্কয়ার ফিটের চারটি ঘর তৈরি করে। যেখানে বর্তমানে এক সঙ্গে ৫ থেকে ৬ হাজার ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি পালন করে থাকেন। এর পাশাপাশি ২০১৯ সালে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের গরুর খামার। উন্নত জাতের গরু এখানে মোটাতাজাকরণ করা হয়। ২০২০ সালে শুরু করেন মাছ চাষ। দেশি-বিদেশি সাদা মাছের পাশাপাশি শুরু করেন নানা জাতের রঙিন মাছের চাষ। আর এই মাছ চাষ করে তিনি ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। আলাউদ্দীনের খামারে রঙিন মাছের মধ্যে রয়েছে গোল্ডফিশ, কমেন্ট, কৈ কাপ, মলি, সলটেল, গাপ্পি, ফাইটার, এঞ্জেল, জেব্রা ও গডামিসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। উপজেলাবাসীর কাছে আলাউদ্দীন সফল ব্যবসায়ী হিসেবেও বেশ পরিচিত। আলাউদ্দীনের এই ফার্মের সফলতায় যে মানুষগুলো সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন- তার ছোট দুই ভাই সোহাগ, সালাহউদ্দীন ও তার সহধর্মিণী মুক্তা খাতুন। আলাউদ্দীনের এই খামার বাড়ির সাফল্য দেখে এলাকার বেকার যুবকদের অনেকেই খামার তৈরি করেছে এবং তৈরি করার স্বপ্ন দেখছে। সরজমিন গিয়ে জানা যায়, আলাউদ্দীনের এখন গড় মাসিক আয় ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। সুন্দর পরিবেশে খামার বাড়ি তৈরি করে আলাউদ্দীনের আর্থিকভাবে সফলতা অর্জন দেখে এ অঞ্চলের তরুণ প্রজন্ম ক্রমেই খামার বাড়ির দিকে ঝুঁকছে।
এ বিষয়ে আলাউদ্দীন বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল প্রাইভেড ফার্ম গড়ে তোলার। প্রাইভেড ফার্ম তৈরি করে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। আর এ ভেবেই আমার এই উদ্যোগ। তবে এই কাজে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। যা আমার পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সরকারিভাবে যদি কোনো সহযোগিতা পাই তাহলে এলাকার অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়