তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

বৈষম্য অবসানে শিক্ষা সরকারি করার দাবি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করতে শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। আর যত দিন সরকারিকরণ সম্ভব হচ্ছে না ততদিন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মতো বেসরকারি শিক্ষকদেরও শতভাগ বেতন, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগে ‘শিক্ষা সার্ভিস কমিশন’ গঠন, চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দেয়া, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির প্রথা বিলুপ্ত করা এবং বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি পদ্ধতি চালুর দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
আজ ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের ঠিক আগের দিন গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের উদ্যোগে যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান বলেন, বিশ্ব শিক্ষক দিবসে প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শিক্ষকরাই শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে’। এই দিবসটি উপযাপনকালে সারাবিশ্বের শিক্ষকরা অতীতের সব অর্জন ও ব্যর্থতার সমীক্ষা করবে। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে সম্মিলিতভাবে সচেষ্ট হবে, যাতে কেউ শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে শিক্ষাব্যবস্থার বিপর্যস্ত অবস্থা ও সব প্রতিবন্ধকতাকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অনুকূল অবস্থা ফিরে পেতে তৎপর রয়েছেন।
শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের প্রশ্নে আলোকপাত করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয় সত্য, কিন্তু শিক্ষকের মানোন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈষম্যের অবসানকল্পে শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরকে সরকারিকরণের মাধ্যমে এক ও অভিন্ন ধারায় রূপান্তরিত করতে সরকার নীতিগতভাবে অঙ্গীকার করলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। শিক্ষকতা পেশা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দাবি রাখলেও অবহেলা ও অবজ্ঞতার ফলে শিক্ষকতা পেশা ক্রমেই মেধাবীদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
সে কারণে পৃথক ‘শিক্ষা সার্ভিস কমিশন’ গঠন করে অভিন্ন নিয়োগ নীতিমালায় মেধাসম্পন্ন দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। তেমনিই সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষকদের সরকারি শিক্ষকদের অনুরূপ নিয়মিত বেতনভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে প্রাইভেট টিউশনি, কোচিং বা অন্যকোনো বাড়তি কাজের দ্বারা অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে শিক্ষকরা নিজ দায়িত্ব পালনে বাধার সম্মুখীন না হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়