তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপে সর্বেসর্বা সাকিব!

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, যিনি একই সঙ্গে ক্রিকেটের তিন সংস্করণে একই সময়ে সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার কৃতি গড়েছিলেন। সাকিব মাঠে নামেন ব্যাট বলকে সঙ্গী করে, আর মাঠ থেকে ফেরেন রেকর্ডকে সঙ্গী করে। চলতি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এই আসরে সাকিবের সামনে দুটি বিশ্বরেকর্ড গড়ার হাতছানি। ব্যাট হাতে ২৭ রান আর বল হাতে ১০ উইকেট নিতে পারলেই তিনি হয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বেসর্বা। বিষয়টা অনেকের কাছেই চোখ কপালে ওঠার মতো। তবে পরিসংখ্যান বলছে, টাইগার অলরাউন্ডারকে হাতছানি দিচ্ছে ইতিহাসে নিজেকে অনন্য উচ্চতা নেয়ার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ডবুকে ৫৯৩ রান নিয়ে অলরাউন্ডারদের মধ্য সবার শীর্ষে আছেন ভারতের যুবরাজ সিং। আর ৫৬৭ রান নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে টাইগার অলরাউন্ডার। এ তালিকায় অবশ্য উইকেটের চেয়ে রানকেই বেশি প্রধান্য দেয়া হয়। তাই উইকেটে পিছিয়ে থাকলেও রানসংখ্যায় সবার প্রথমে যুবরাজ। তবে ব্যক্তিগত ঝুলিতে কমপক্ষে ১০ উইকেট শিকারিরাই থাকছেন এই তালিকায়। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৩৯ উইকেট পেয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি। ৩০ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় সাকিব অবস্থান করছেন ৭তম স্থানে। তার উপরে যারা আছেন তাদের প্রত্যেকেই বর্তমানে অবসরে। ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আর ১০টি উইকেট পেলেই সাকিব হয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। একই সঙ্গে টাইগার অলরাউন্ডারের সুযোগ আছে বিশ্বকাপে সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের তালিকায় জায়গা করে নেয়ার। ৫৬৭ রান করে সাকিবের অবস্থান এই তালিকার ১২তম স্থানে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের অভিষেক ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর তিনি একে একে খেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি আসরে। বিশ্বকাপে সাকিব খেলেছেন ২৫টি ম্যাচ। বিশ্ব আসরে ২৪ ইনিংসে তিনি ২৮.৩৫ গড়ে করেছেন ৫৬৭ রান। বিশ্বকাপে সাকিবের সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। ছয়টি আসরে সাকিবের কোনো শতক না থাকলেও আছে তিনটি অর্ধশতক রানের ইনিংস। আর বল হাতে সাকিব ২৫ ম্যাচ থেকে নিয়েছেন ৩০টি উইকেট। তার বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগার ১৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট, ২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে সাকিব ৪ উইকেট শিকার করেছেন দুইবার, ৩ উইকেট তিনবার, ২ উইকেট তিনবার আর এক উইকেট করে নিয়েছেন সাত ইনিংসে। ব্যাটে বলে পারদর্শী টাইগার অলরাউন্ডার বিশ্বকাপে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন একবার। ২০১৪ সালে ঘরের মাটিতে ওই ম্যাচে সাকিব ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়েছিল আফগান বাহিনী। ব্যাট হাতে ১০ রান আর বল হাতে ৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে তিনি ওই ম্যাচে সেরা হন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অলরাউন্ডারদের মধ্য ৫৯৩ রান আর ১২ উইকেট নিয়ে ভারতের যুবরাজ সিং সবার সেরা। ৫৬৭ রান ও ৩০ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৫৪৬ রান ও ৩৯ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা তিনে পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি। ভারত ও পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারই ব্যাট, প্যাড ঘুচিয়ে অবসরে গেছেন। ফলে এবারের বিশ্বকাপে অলরাউন্ডারদের সিংহাসনের রাজা হতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি শহিদ আফ্রিদি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ উইকেট নিয়ে তালিকায় এরপরের অবস্থানটি শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার। ৩৬ উইকেট তিনে পাকিস্তানের সাঈদ আজমল। সমান ৩৫ উইকেট নিয়ে তালিকার চারে শ্রীলঙ্কার অজান্থা মেন্ডিস আর পাঁচে পাকিস্তানের ওমর গুল। সাকিবের সমান ৩০ উইকেট নিয়ে তালিকার ছয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়