তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

বাউফলে ভাঙা ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে সহস্রাধিক মানুষের চলাচল

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : ব্রিজটি দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপরেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই। স্থানীয়দের ধারণা, দেশে এত উন্নয়ন ঘটলেও কোন দৈব কারণে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে না। তাই তারা ব্রিজটির নাম দিয়েছেন ‘কালের পুল’। ব্রিজটির অবস্থান পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর ওয়াডেল গ্রামে। বিগত ১৫ বছর ধরে বেহাল ওই ব্রিজটি দিয়ে প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু আহত হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
সরজমিন দেখা গেছে, ব্রিজটির কেবল কাঠামো এদিক-ওদিক বাঁকা হয়ে রয়েছে। সব সøাব ভেঙে গেছে। নেই লোহার হাতলও। দুর্বত্তরা হাতলসহ অন্যান্য লোহার সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে গেছে। ব্রিজের ওপর কেউ উঠলেই ব্রিজটি এদিক-ওদিক দোল খায়। অনন্যোপায় হয়ে এলাকাবাসী ব্রিজের খুঁটির ওপর গাছের গুঁড়ি ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয়দের মতে, পারপার হতে গিয়ে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু। এ যেন দুর্ঘটনার আঁতুড়ঘর।
ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে গুরুতর আহত রুশিয়া বেগম (৫০), হাসিনা বেগম (২৬) ও তার আড়াই বছরের সন্তান নোমান, ফিমা বেগম (৪০), মাদ্রাসাছাত্র মো. সোহেল (১৬) এখনো দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযাপন করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার আব্বা এ ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা না থাকলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেত না। রুশিয়া বেগম বলেন, ব্রিজ থেকে পড়ে আমার হাত ভেঙে গেছে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. ফিরোজ গাজী বলেন, একটি খালের কারণে চরওয়াডেল গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজটি। তবে ব্রিজটির অবস্থা বেহাল হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সহস্রাধিক মানুষ। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেকের হাত ভেঙে গেছে। কারো দাঁত ভেঙে গেছে। কেউ কেউ গুরুতর আহত হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। কলেজ শিক্ষার্থী মো. গাজী মনির জানান, নদীবেষ্টিত ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ। উপজেলার অন্যসব ইউনিয়নের তুলনায় এখানে তেমন উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্রিজটির বেহাল দশা থেকে আমরা মুক্তি চাই। এ বিষয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেছি। তারা কয়েকবার পরির্দশনও করেছেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ব্রিজটি নির্মাণ হচ্ছে না। বাউফল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. সুলতান আহমেদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি পরির্দশন করেছেন। সয়েল টেস্টও হয়েছে। দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়