তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

দক্ষদের প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ : মধ্যপ্রাচ্যফেরত প্রবাসীদের কাজে ফেরা নিয়ে জটিলতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে আসা প্রবাসীদের কাজে ফেরা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। প্রশিক্ষণের নামে সৃষ্ট জটিলতায় প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি দেশে আটকে পড়ায় থমকে আছে রেমিট্যান্স। তারা রিক্রুটিং এজেন্সি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি অফিসে ঘুরেও পাচ্ছেন না সদুত্তর। অনিশ্চিত অভিজ্ঞদের কাজের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলে সময় ক্ষেপণের নামে হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ও জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলমের সঙ্গে গতকাল সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, যারা মধ্যপ্রাচ্য যেতে চান তাদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে বিএমইটি। এর মধ্যে যারা ইতিপূর্বে ১২-১৫ বছর মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করে ছুটিতে দেশে ফিরেছেন বা নতুন করে ভিসা নিয়েছেন তারাও রয়েছেন! যাতে সরকার নির্ধারিত ৩০০ টাকা ফ্রি জমা দেয়ার পর প্রশিক্ষণের তারিখ পড়ছে ২০ দিন থেকে এক মাস পর। প্রশিক্ষণ ছাড়া আঙুলের ছাপ না নেয়ায় পুরনো শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়া আটকে আছে। অথচ তারা ইতোপূর্বে বিদেশে কাজ করে দেশে প্রতিমাসে ১৫-২০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছেন।
এখন প্রশিক্ষিতদের ‘দক্ষ’ করার উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করায় সৃষ্ট জটিলতায় আটকে গেছে ১০ হাজার শ্রমিকের রেমিট্যান্স। অথচ সর্বত্র পুরানদের শুধু আঙুলের ছাপ নিয়ে তথ্য আপডেট করে টিকেট নিশ্চিত করার কথা রয়েছে।
সৌদি আরব যাওয়ার আপেক্ষায় থাকা আজিজুল হক, মাসুদ রানা ও রুহুল আমীনসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তাদের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সৌদি থেকে তাদের সবকিছু ঠিক করে কাজের জন্য ডাকা হলেও বিপত্তি বাধিয়েছে বিএমইটি। তারা নতুন-পুরনো সবার জন্য প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে। তবে আবেদন করে প্রশিক্ষণের তারিখ পাওয়া যাচ্ছে ২০ দিন থেকে একমাস পর। ফলে সৌদির কর্মস্থল থেকে দ্রুত যাওয়ার তাগিদ দেয়া হলেও নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে কাজ।
একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সী মালিক জানিয়েছেন, পুরনো কর্মীদের ক্ষেত্রে বিএমটিএর এই শর্ত মনগড়া ও হয়রানিমূলক। এতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা যাবে বলা হলেও হিসাব মেলালে দেখা যাবে তার চেয়ে অনেক বেশি রেমিট্যান্স হারাবে দেশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়