কাগজ প্রতিবেদক : গানের সুর, আবৃত্তির দীপ্ত উচ্চারণ আর নাচের ঝংকারে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত মঞ্চে মূর্ত হয়ে উঠেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের চতুর্থ দিন গতকাল সোমবার বিকালের চিত্রটা এমনই ছিল। দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে থেকে মুহুর্মুহু করতালিতে আরো উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেন শিল্পীরা। নান্দনিক উপস্থাপনায় প্রাণঢালা অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছিলেন তারা। এরপর প্রতিটি পরিবেশনা শেষে শিল্পীদের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দিয়ে তাদের সম্মানিত করেছেন আয়োজকরা।
শুরুতে বিকালে উন্মুক্ত মঞ্চের আয়োজনে পথনাটক পরিবেশন করে ‘থিয়েটার ৫২’, শিশুদের পরিবেশনায় অংশ নেয় ‘মন্দিরা সাংস্কৃতিক পাঠশালা’, দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে ‘স্বরবৃত্ত’। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে ‘সমস্বর’, দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ‘জিনিয়া নৃত্যকলা একাডেমি’, একক সংগীত পরিবেশন করেন ডা. মাহজাবীন শাওলী ও অলোক দাশগুপ্ত। একক আবৃত্তি করেন ইকবাল খোরশেদ, ঝর্ণা সরকার ও মনিরুল ইসলাম।
এরপর সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার তিন মিলনায়তনে নাটকের মঞ্চায়ন ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় উৎসব প্রাঙ্গণে। সন্ধ্যা ৭টায় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে হবিগঞ্জের জীবন সংকেত নাট্যদল মঞ্চায়ন করে নাটক ‘জ্যোতিসংহিতা’ একই সময়ে পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মৈত্রী থিয়েটার মঞ্চায়ন করে তাদের নিয়মিত প্রযোজনার নাটক ‘বর্ণচোরা’ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে উৎস নাট্যদল পরিবেশন করে ‘স্বর্ণজননী’। রুমা মোদকের রচনায় ‘জ্যোতিসংহিতা’ নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সুদীপ চক্রবর্তী, মমতাজউদদীন আহমদ রচিত ‘বর্ণচোরা’র নির্দেশনায় ছিলেন নিয়াজ আহমেদ ও মান্নান হীরার রচনায় ‘স্বর্ণজননী’র নির্দেশনায় ছিলেন ইমরান হোসেন ইমু। একইসময়ে সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনের আসরে নৃত্যনাট্য ‘প্রসঙ্গ : ৪৭’ পরিবেশন করে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় ও ‘বঙ্গবন্ধু আমার প্রেরণা, মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার’ শিরোনামের আবৃত্তি প্রযোজনা পরিবেশন করে কণ্ঠশীলন।