তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

কসবা পৌর নির্বাচন : মেয়র প্রার্থীরা ছুটছেন কেন্দ্রে কাউন্সিলররা ঘুরছেন এলাকা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ৭ম ধাপে নির্বাচনের হাওয়া বইছে অনেক জেলা ও উপজেলায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে কসবা পৌরসভার নির্বাচন।
আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ চলছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। তৃণমূলে যারা দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে বর্তমান মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, সাংবাদিক মো. সোলেমান খান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, শ্রমিকলীগ নেতা মো. জামিল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের মাহবুবুর রহমান। করোনাজনিত কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর কার্যালয় থেকে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ফলে ইতোমধ্যে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শনিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ এবং রবিবার বিকেলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও শ্রমিক লীগ নেতা জামিল ও এমজি হাক্কানী। অপরদিকে তৃণমূলের মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করে কেন্দ্র থেকে সরাসরি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী। অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা ৬ অক্টোবরের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেন বলে জানা যায়।
সম্ভাব্য প্রার্থীর সমর্থকরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি এবং প্রার্থীরা মসজিদে মসজিদে জিলাপি ও মিষ্টি দিয়ে গত শুক্রবার মিলাদ পড়িয়ে দোয়া চেয়েছেন। এছাড়াও রাস্তার মোড়ে ব্যানার, গাছে গাছে ফেস্টুন লাগিয়ে, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে, এলাকার খেলাধুলায় অতিথি হয়ে ভোটারদের জানান দিচ্ছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রতি নিজেদের আকৃষ্ট করতে এবং এলাকার সাংসদ আইনমন্ত্রীর নজর করতে এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তবে সব প্রার্থী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করে আইনমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন।
পৌর নির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এলাকার চায়ের স্টলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখন সবার মুখেই নির্বাচনী আলোচনা ও সমালোচনা। বর্তমান মেয়রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা যেমন হচ্ছে, তেমন কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন।
সম্প্রতি গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানে এসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বক্তৃতায় বলেছেন, এবারের পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনে জনগণের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে তারাই মনোনয়ন পাওয়ার কাতারে এগিয়ে থাকবেন। আইনমন্ত্রীর এমন কথা শুনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন জনপ্রিয়তা অর্জনেও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে প্রার্থীদের বিশ্বাস যে নৌকা পাবে তিনিই হবেন কসবার মেয়র। এদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা মোটেও বসে নেই। দিবারাত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং নানা প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোটারদের মন আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়