তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

ই-কমার্সে কেনাকাটায় আস্থা সংকটে মানুষ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনাকালে মানুষ কেনাকাটার মাধ্যম হিসেবে ই-কমার্সকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়েছে। অনলাইনে কেনাকাটার পাশাপাশি বেড়েছে ই-কমার্সে উদ্যোক্তার সংখ্যাও। একই সঙ্গে বেড়েছে প্রতারণাও। স¤প্রতি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা প্রকাশ্যে এলে অনলাইন কেনাকাটায় আস্থা সংকটে ভুগছেন ক্রেতারা।
স¤প্রতি ইভ্যালিসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠে। বিশেষ অফারের নামে পণ্যের জন্য আগাম অর্থ নিয়েও নির্ধারিত সময় পেরুনোর পরও পণ্য ডেলিভারি করেনি বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। গ্রাহককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা পাচার ও অন্যত্র স্থানান্তর করারও অভিযোগ রয়েছে এ খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
ইভ্যালি, ধামাকাসহ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ফলে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটায় আস্থা হারাচ্ছে। সম্ভাবনাময় এ খাতটি এখন হুমকির মুখে। কেনাকাটায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর অবস্থান এক্ষেত্রে আস্থা ফেরাতে পারে। একইসঙ্গে নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ কেনাকাটার নিশ্চয়তা দিতে পারলে গ্রাহকরা আস্থা পাবেন।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইভ্যালি, ধামাকাসহ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ফলে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটায় আস্থা হারাচ্ছে। সম্ভাবনাময় এ খাতটি এখন হুমকির মুখে। কেনাকাটায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর অবস্থান এক্ষেত্রে আস্থা ফেরাতে পারে। একইসঙ্গে নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ কেনাকাটার নিশ্চয়তা দিতে পারলে গ্রাহকেরা আস্থা পাবে।
গত ৪ জুলাই ই-কমার্স ব্যবস্থাপনা সুন্দর ও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশিকা জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, দেশের সংশ্লিষ্ট সব প্রচলিত আইন ডিজিটাল কমার্স পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ওয়েবসাইট, মার্কেটপ্লেস বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট সব বিবরণ ও শর্তাবলি যেমন পণ্য ও মূল্য ফেরতের শর্তাবলি, পরিবর্তন, সরবরাহের সময়সীমা ইত্যাদি বিষয়ে সব শর্তাবলি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। ডিজিটাল কমার্স বা ই-কমার্সের মাধ্যমে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বা নেটওয়ার্ক ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতিরেকে ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো ধরনের অর্থ ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। ক্রেতাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য বাধ্য করা যাবে না।
এছাড়াও বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য বা পণ্যসামগ্রী ডেলিভারিম্যান বা ডেলিভারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে হবে এবং ক্রেতাকে তা টেলিফোন, ই-মেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে ডেলিভারি সংস্থা বা মার্কেটপ্লেস ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে। পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত হলে ক্রেতা ও বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থান করলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে ডেলিভারির সময় আরো সংক্ষিপ্ত হবে এবং ক্রয়াদেশ গ্রহণের সময় ক্রেতাকে তা সুস্পষ্টভাবে জানানোর বাধ্যবাধকতার কথাও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল ই-কমার্স আইন প্রণয়ন ও পৃথক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠায় আইনি দিক পর্যালোচনা করতে ১৬ সদস্যের একটি আইনি কমিটি গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গঠিত কমিটি ডিজিটাল কমার্স সেক্টরের উদ্ভূত সমস্যার সমাধান লক্ষ্যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। এছাড়া কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে ডিজিটাল কমার্স পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ উপযোগী একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়