গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে : খন্দকার মোরশেদ রহমান মেয়র, মধুখালী পৌরসভা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অঞ্জন সাহা রানা, মধুখালী (ফরিদপুর) থেকে : ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভার দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১০ ডিসেম্বর ২০২০। নির্বাচনে জেলায় সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হিসেবে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খন্দকার মোরশেদ রহমান। পৌরসভার প্রথম নির্বাচনেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে পৌরসভা পরিচালনায় তিনি তার অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন এমনটাই মনে করেন মধুখালী পৌরবাসী। দ্বিতীয় মেয়াদে পদার্পণ করা পৌরসভাটি এখনো পরিপূর্ণভাবে সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে উঠতে পারেনি।
পৌরসভার প্রধান সমস্যা কী কী এমন প্রশ্নের জবাবে পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান বলেন, মূলত তিনটি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা আর কয়েকটি সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়া পৌরবাসীর প্রধান সমস্যা। এসব সমস্যা সামাধানের জন্য ইতোমধ্যে কয়েকটি ড্রেন নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। আরো কিছু ড্রেন নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে।
পৌরসভার যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন পৌরসভার প্রায় ৭৫ শতাংশ রাস্তার মান মোটামুটি সন্তোষজনক। নতুন করেও বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হলেও করোনা সংকটের কারণে কাজ শেষ করা যায়নি। তবে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। অচিরেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে বলে তিনি মনে করেন। সড়কবাতি প্রসঙ্গে বলেন, পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কে সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। আমরা পৌরবাসীর কাছ থেকে শুধুমাত্র হোল্ডিং ট্যাক্স উত্তোলন করি। সড়কবাতির জন্য আলাদা ট্যাক্স গ্রহণের নির্দেশনা থাকলেও পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে সড়কবাতির বিল পরিশোধ করা হয়ে থাকে। আগামীতে অবশিষ্ট সড়কগুলোও সড়কবাতির আওতায়

আসবে।
বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত, প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূলত এই পৌরসভাটি নওপাড়া, গাজনা ও মধুখালী ইউনিয়ন থেকে কর্তনকৃত অংশ নিয়ে গঠিত। এখনো পুরোপুরিভাবে পৌরসভার সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়নি। ফলে বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদানে ছোট ছোট কিছু অসুবিধা দেখা দিলেও স্থানীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকৃত সাহায্য প্রার্থীদের হাতে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
পৌরবাসীর উন্নয়নে নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, মধুখালী বাজার ব্যবস্থাপনাকে বিশেষ করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে বেশ কিছু বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মূলত, গত নির্বাচনে পৌরবাসীকে দেয়া জলাবন্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রæতিও এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, মুরগি ও মাংস বাজারকে বর্তমান বাজারের পশ্চিম দিকে স্থানান্তর করা হবে এবং বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমে থাকা পানি বাজারের ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত করে পরিত্যক্ত খালে নিষ্কাশন করা হবে।
পৌরসভায় গরিব মানুষের সংখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট এমন কোনো তালিকা নেই। তবে ওয়ার্ড কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকার কর্তৃক পৌরসভার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ, খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য সব সুবিধা নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। পরিকল্পিত প্রকল্প হাতে নিয়ে এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর জন্য কাজ করতে চান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়