গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

শ্রীপুরে শাপলা ফুলে ৩শ পরিবারের জীবিকা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাসির উদ্দিন জর্জ, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : একমাত্র পরিশ্রমকে পুঁজি করে শ্রীপুর উপজেলার নলগাঁও, প্রহলাদপুর, ডুমনী, ল²ীপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ জাতীয় ফুল শাপলা বিক্রি করে বছরের কিছু সময় জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্ষা শুরুর পর শ্রাবণ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত ওইসব গ্রামের কমপক্ষে ৩০০ পরিবার শাপলা বিক্রি করে অর্থোপার্জন করে থাকে। সাদা শাপলা স্থানীয় বাজারগুলোতে খাদ্যোপকরণ হিসেবে বেচা-কেনা হয়। লাল শাপলা বিশেষ উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকার বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়। ল²ীপুর গ্রামের গৃহিণী অঞ্জনা দাস বলেন, পুঁজি বলতে চার হাজার টাকায় একটি নৌকা কিনেছেন। শাপলা তুলে বিক্রি করে প্রতি মৌসুমে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। দুটি ছেলের পড়াশোনার খরচসহ সংসারের অন্য খরচও মেটাতে পারেন শাপলা বিক্রির টাকায়। একই গ্রামের গৃহিণী দিপালী রানী জানান, নৌকা দিয়ে নদী থেকে শাপলা তুলে এনে কেটে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করেন। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে পারেন। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বা পচে গেলে দাম কম পান। গৃহিণী রীনা রানী বলেন, তার ছেলে-স্বামী ভোর থেকেই বিলে শাপলা ওঠানোর কাজ শুরু করেন। একটা নৌকা পর্যায়ক্রমে একাধিক পরিবার ব্যবহার করে। শুকনো শাপলা সর্বোচ্চ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। গত ১০ বছর ধরে তারা শাপলা বিক্রি করে আসছেন তারা। তবে তাদের বিক্রিতে বাজারমূল্য সঠিক পান কিনা সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন। এলাকায় উঁচু মাঠ-ঘাট না থাকায় রাস্তায় রোদে আবার বাঁশ বেঁধে তার ওপর আঁটি বানিয়ে ঝুলিয়ে রোদে শোকাতে দেন। একজন নারী প্রতি মৌসুমে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম মূয়ীদুল হাসান বলেন, পারুলী নদী ও পাশের বিলগুলোতে বর্ষকালে প্রচুর শাপলা ফোটে। গত প্রায় ১০ বছর ধরে এলাকার শত শত পরিবার শাপলা ফুল সংগ্রহের কাজ করছে। শাপলা সংগ্রহকারীরা ঢাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শাপলা বিক্রি করেন। সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি শাপলা এখন ফুলের বিপরীতে জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়