গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য : সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স কমেছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা) এর পরিমাণ ১৪ হাজার ৬৭২ কোটি ৭০ টাকা। যা এর আগের মাস আগস্টের চেয়ে ৪২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার কম। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। গতকাল রবিবার রেমিট্যান্স-সংক্রান্ত প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছর হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। সে সময় ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো একজন প্রবাসী বাংলাদেশে ১০০ টাকা পাঠালে তার সঙ্গে আরো ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন তিনি। এছাড়া ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি আরো ১ শতাংশ অফার দেয়া হয়। এসব কারণে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
এ সময় সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এরপর রয়েছে ডাচ্?-বাংলা, অগ্রণী, সোনালী ও পূবালী ব্যাংক। এসব অর্থের বেশির ভাগই এসেছে ১০টি দেশ থেকে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ওমান, কাতার, ইতালি, বাহরাইন ও সিঙ্গাপুর। এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ধারাবাহিক রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত অর্থবছর করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার নিয়েছিল, সে সময় সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ে। তখন অনেক কোম্পানি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের সব দেনা-পাওনা দিয়ে ছাঁটাই করেছিল। সে কারণে অনেক প্রবাসী একবারে হয়তো অনেক বেশি টাকা নিয়ে এসেছিল।
এতে প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। এখন আবার তারা নতুন করে কাজে যোগ দিয়েছেন, কাজ করে নির্দিষ্ট বেতনের অংশ পাঠাচ্ছেন বলে কম মনে হচ্ছে। যেহেতু সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, আগামীতে আবার প্রবাসী আয় বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়