গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন : আমরা এখনো আশাবাদী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রোহিঙ্গারা নিজভূমি মিয়ানমারে ফেরত যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল তিনি ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, মিয়ানমার কখনোই বলেনি তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই চুক্তিতে মিয়ানমার সই করেছে। অবশ্যই তারা সেই সইয়ের মর্যাদা দেবে। তারা বলেছেন, যাচাই-বাছাই করে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। আমরা সেটাতেই আশাবাদী।
আন্তর্জাতিক শক্তিতো ওইভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে সবাই সই করেছে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক শক্তিও এ বিষয়ে কথা বলবে। আর রোহিঙ্গারা ফেরত যাবেই না কেন? ১৯৭৮ সালে রোহিঙ্গারা ফেরত গেছে, ১৯৯২ সালেও রোহিঙ্গারা ফেরত গেছে। হ্যাঁ, ওই সময় হয়তো কমসংখ্যক রোহিঙ্গা ছিল, এবার সংখ্যাটা কিছু বেশি হয়ে গেছে। কাজেই এবারো তারা ফেরত যাবে। আশায় বুক বেঁধে আছি।
মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়া আটকালো কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ঠিক, তিনি ফেরত যাওয়ার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। হতে পারে এজন্য কোনো স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে। কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। নিশ্চয়ই সবকিছু বেরোবে। আমরা মনে করি, তার এই ঘটনাটা তদন্ত করে এর মূল কারণটা বের করতে হবে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের যে অংশটি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য কাজ করে আসছিল, তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনা। পুলিশ ইতোমধ্যে পাঁচ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। তবে কারা কেন মুহিবুল্লাহকে খুন করে থাকতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪৮ বছর বয়সি মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। তিনি ছিলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস’ নামে রোহিঙ্গাদের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুল শিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়