গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

ডোমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা সংকট : ২১ চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত ৯ জন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : ডোমার উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের কারণে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া আল্টাসাউন্ড মেশিন বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর বসানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। শুধুমাত্র এক্স-রে মেশিন চালু রয়েছে। অন্যান্য চিকিৎসার সরঞ্জাম থাকার পরও টেকনিশিয়ান না থাকায় তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। জানা গেছে, ডোমার হাসপাতালের জন্য অনুমোদিত ডাক্তারের পদ সংখ্যা ২১টি হলেও কর্মরত মাত্র ৯ জন। বাকি ১২টি শূন্য পদ হলো- জুনিয়র কনসালট্যান্ট (এনেসথেসিয়া), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিকস), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চর্ম ও যৌনরোগ), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন), আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ইনডোর মেডিকেল অফিসার, ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার। এ ছাড়াও উপজেলার ১০টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১০টি মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও ৩টি পদ শূন্য রয়েছে, ৭ জন কর্মরত ডাক্তারের মধ্যে ৪ জনই রয়েছেন প্রেষণে। ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের পদ ৩৩টি, যার মধ্যে ১১টি পদই শূন্য। কর্মরত ১৯টি পদের মধ্যে সিনিয়র স্টাফ নার্স ২ জন প্রেষণে, সিনিয়র স্টাফ নার্স (মিডওয়াইফারি) ৮ জনের মধ্যে সবাই প্রেষণে আছেন। কর্মরত মাত্র ৯ জন নার্স দিয়ে চলছে হাসপাতাল। নার্স সংকটের ফলে হাসপাতালের নতুন প্রসূতি ওয়ার্ড এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ৯৬টি পদের মধ্যে ৩৫টিই শূন্য। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ৩৫টি পদের ১৯টি পদই শূন্য রয়েছে। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৩০ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর থেকে ডাক্তাররা কর্মস্থলে এসে থাকেন। এতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না জনগণ। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত ১০টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা খুবই করুণ। যা প্রায় দিনই বন্ধ অবস্থায় থাকে। ২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু থাকলেও এতে কর্মরত সিএইচসিপিদের উপস্থিতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো খোলা রাখার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে তা করা হয় না। প্রতিদিন ইনডোরে ৭০-৮০ জন রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া আউটডোরে ২/৩ শত রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া হাসপাতালের জন্য বিদ্যুতের যে লোড প্রয়োজন তা এই লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ সম্ভব নয়। ফলে প্রায় সময়ই হাসপাতাল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রায়হান বারী জানান, হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকট, যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আশা করি সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে। নীলফামারী সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদগুলো নিয়োগ দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ডাক্তার-নার্স যারা প্রেষণে আছেন তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অপারেশন থিয়েটার ও আল্টাসাউন্ড মেশিন দ্রুত চালু করা হবে বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়