কাগজ প্রতিবেদক : কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। এ খেলাটি আন্তর্জাতিকভাবেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০২২ সালের ১০-২৫ সেপ্টেম্বর চীনের হাংজুতে হবে ১৯তম এশিয়ান গেমস। এ টুর্নামেন্টে পদক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে পুরুষ ও নারী দলের মানোন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে কাবাডি ফেডারেশন। তাই গতকাল শুরু হয়েছে জাতীয় নারী দলের ক্যাম্প। এ ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে ৩৩ জন খেলোয়াড়কে। এদের মধ্যে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন আনসারের ১০ জন, বাংলাদেশ গেমস রানার্সআপ পুলিশের ১৪ জন ও নড়াইলের ৯ জন খেলোয়াড়। ২০১৯ এসএ গেমসের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন মালেকা, রুপালী আক্তার, শ্রাবনী পোদ্দার ও টুকটুকি আক্তার। এছাড়া ২০১৮ সালের জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ৯ দলের মধ্যে সপ্তম হয়েছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। যাহোক পুরনো ব্যর্থতা ভুলে আসন্ন ১৯তম এশিয়ান গেমসে পদক পুনরুদ্ধারের কথাই ভাবছে ফেডারেশন। এ বিষয় বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, অতীতের ব্যর্থতা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। কাবাডির স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজও শুরু করেছি আমরা। আমাদের মূল লক্ষ্য আগামী বছর হাংঝু এশিয়ান গেমসে নারী ও পুরুষ কাবাডি দলের পদক পুনরুদ্ধার করা। তাই অর্থের জন্য বিওএর দিকে না তাকিয়ে থেকে নিজেদের উদ্যোগে দুই দলেরই ক্যাম্প শুরু করেছি। সাফল্য এনে দিতে খেলোয়াড়রা মাঠে খেলবেন, আমাদের কাজ তাদের চাহিদা পূরণ করা।
এদিকে ২০১৯ এসএ গেমসের মতো এবারো খেলোয়াড়দের দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরুষ কাবাডি দলের ক্যাম্পের প্রথম ধাপ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ৫৩ জনকে ক্যাম্পে ডাকা হলেও আন্তঃইউনিট খেলা থাকায় ক্যাম্পে যোগ দেননি সেনাবাহিনী ও বিজিবির খেলোয়াড়রা।
বিদেশি কোচ সাজু রাম গয়াতের অধীনে গত ২০ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেবেলের উন্নতি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইয়ো ইয়ো টেস্টে ২২ পর্যন্ত স্কোর তুলেছেন কাবাডি খেলোয়াড়রা, যা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও এ পর্যন্ত ওঠাতে পারেন না।