তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

সেলিম রেজা : ভোগান্তির অবসান হবে কিছুদিন পর

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্র্মকর্তা সেলিম রেজা বলেছেন, ঢাকায় উন্নয়ন কাজে আগে যেমন ঢিলেমি ছিল, এখন বাস্তবে তা অতটা নেই। কারণ আমরা এসব বিষয়ে খুবই কঠোর হয়েছি। তবে কাজের মানের ভালোর জন্য কিছুটা ছাড় দিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ তেজগাঁও পুলিশ প্লাজার সামনে এখন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে। এ নিয়ে পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারসহ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। যাতে দ্রুত কাজ শেষ করা যায়। তারপরও আমরা দ্রুত রাস্তা খুলে দেয়ার কথা বলেছি। তারা জানালেন, এখন রাস্তা খুলে দিলে, কাজও হবে না, জনগণের ভোগান্তিও কমবে না। ঝামেলা আরো বাড়বে। আর কিছু দিন সময় পেলে রাস্তা খুলে যাবে। এটুকু সময় তো তাদের দিতেই হবে। তবে মেগা প্রকল্পসহ যেসব উন্নয়ন কাজ চলছে আমরা সেগুলো দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিচ্ছি। গতকাল শুক্রবার টেলিফোনে ভোরের কাগজকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন সংস্থার খোঁড়াখুুঁড়ির বিষয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন খোঁড়াখুঁড়ির জন্য খুব বেশি অনুমতি দেই না। যেটা না দিলেই নয়, সেটা দেই। মেগা প্রকল্পের জন্য রাস্তা খুঁড়তে হলে তো অনুমতি দিতেই হবে। তাছাড়া প্রতিদিন ঢাকায় যে হারে নতুন নতুন ভবন হচ্ছে, সেগুলোতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়। আবার কিছু এলাকায় পানি উপচে পড়ে অলিগলিতে। গ্যাস লাইন লিকেজ হয় সেসব ক্ষেত্রে তো অনুমতি দিতেই হবে।
সেলিম রেজা বলেন, ঢাকায় নতুন নতুন বহুতল ভবন হচ্ছে। দুই কোটির বেশি মানুষের বসবাস। যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আগামীতে এই চাপ আরো বাড়বে। সব চাপ সড়কের ওপর। সেই চাপ সামলানো ও ঢাকাকে বাসযোগ্য করতেই প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্পগুলো নিয়েছেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে খোঁড়াখুঁড়ি করতেই হচ্ছে। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। প্রকল্পগুলো শেষ হলে এর সুফলটা সবাই পাব। তিনি বলেন, সময় লাগলেও কুড়িল ফ্লাইওভার, খিলগাঁও ফ্লাইওভার, মগবাজার-মৌচাক-বাংলামোটর ফ্লাইওভার, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কাজ যখন চলে তখন সীমাহীন ভোগান্তি ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়েছিল। এগুলো চালু হওয়ায় সেই ভোগান্তি আর নেই। মানুষ খুব দ্রুত এখন যাতায়াত করতে পারছেন। একইভাবে মেট্টোরেল প্রকল্প, পাতাল রেল প্রকল্প, বিআরটির কাজ চলমান থাকায় ভোগান্তিটা হচ্ছে। বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, পুরনো গাড়ি, ঠেলাগাড়ি, রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল সব যানবাহন সড়কে চলছে। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৯ হাজার মানুষ বাস করে। সেজন্যই রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। তবে মেট্টোরেল ও পাতাল রেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হলে ভোগান্তি থাকবে না। আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশন করছি। ঢাকার ভেতরের টার্মিনালগুলো দূরে নিয়ে যাচ্ছি। অনেকগুলো রাস্তা আধুনিক করছি। ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করছি। আর কিছুদিন গেলেই নগরবাসী ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়