তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

প্রযুক্তি পণ্যের নিরাপদ সরবরাহে নতুন উদ্যোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চিপ উৎপাদনে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। দুই দশকের মধ্যে ভারত তৃতীয়বারের মতো নিজস্ব চিপ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চিপ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে প্রণোদনা দেয়ার আহ্বানও জানাচ্ছে-
চিপ ও ফাইভজিসহ প্রযুক্তিপণ্যের নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিতের পাশাপাশি চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কোয়াডভুক্ত চার দেশ। ওয়াশিংটনে প্রথমবারের মতো ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও বিভিন্ন সেবা খাতে স্থিতিশীল, বৈচিত্র্যময় ও নিরাপদ প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরি আমাদের যৌথ জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ যেসব মিত্র দেশ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিরাপদ পণ্য সরবরাহ চেইন তৈরিতে কোয়াড নেতাদের মূল্যবোধে বিশ্বাসী, তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এর পাশাপাশি দেশগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে কোয়াড। বিশ্বজুড়ে যখন চিপ সংকট চলছে সে সময় এ চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চিপ উৎপাদনে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। দুই দশকের মধ্যে ভারত তৃতীয়বারের মতো নিজস্ব চিপ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চিপ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে প্রণোদনা দেয়ার আহ্বানও জানাচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাজারে চিপ সরবরাহের পাশাপাশি বৈশ্বিক সরবরাহের অন্যতম ভিত্তিতে পরিণত হবে ভারত।
বেঙ্গালুরুভিত্তিক থিংকট্যাংক তক্ষশীলা ইনস্টিটিউশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ও ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি বিশারদ প্রণয় কোটস্থান বলেন, এটি ভারতের জন্য খুবই ইতিবাচক। তবে চিপ উৎপাদনে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতাই একমাত্র উপায়। কেননা একক প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে কোয়ালকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টিয়ানো এমনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটিকে ফাইভজি প্রযুক্তি খাতে যে চিপের প্রয়োজন হয়, সেটি উৎপাদনে ভারতের প্রণোদনা উদ্যোগে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। বর্তমানে বিশ্বে চিপ উৎপাদনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাইওয়ান। বিশ্বে যে পরিমাণ সেমিকন্ডাক্টরের প্রয়োজন হয়, তার প্রায় অর্ধেক উৎপাদন করে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৩ ন্যানোমিটারের চিপ উৎপাদনে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
চিপসহ অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহে তাইওয়ানের ওপর নির্ভরতার কারণে কোয়াডভুক্ত চার দেশ উন্নত প্রযুক্তির নিরাপদ সরবরাহ চেইন তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে। তাইওয়ানের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে চীনের সঙ্গে দেশটির বৈরী সম্পর্ক বিরাজমান।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চীন তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে আসছে। সেই সঙ্গে তাইওয়ানে সাইবার হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এগুলো দেশটিতে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে এবং এর ফলে চিপ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। মূলত কোয়াডভুক্ত দেশগুলো তাদের নিজস্ব সরবরাহ শৃঙ্খল চালু করতে চাইছে। চিপ উৎপাদন যেন শুধু একটি দেশকেন্দ্রিক না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে চাইছে বলেও জানান তিনি। সূত্র : দি ইকোনমিক টাইমস

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়