তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

পূজায় যুগলবন্দি পোশাক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সম্পর্কের এক জোরালো প্রকাশভঙ্গি যেন একই ডিজাইনের পোশাক। বেশ কয়েকবছর ধরেই ফ্যাশন জগতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জুটি বেঁধে পোশাক পরার এই ট্রেন্ড। পরিবার-প্রিয়জনদের সাথে উৎসব-পার্বণে একই রকম পোশাক পরার ট্রেন্ড চলছে এবারের শারদীয় দূর্গা উৎসব ঘিরেও। এই করোনা সংকটেও পূজার কেনাকাটায় দেশীয় ব্র্যান্ডের স্টোরে এ ধরনের ডিজাইনে তৈরি পোশাকে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।

ফ্যাশনে নতুন কিছু
একটা সময় যুগল পোশাক হতো দুই বোন বা দুই ভাইয়ের। অথবা যমজ বা পিঠাপিঠি ভাইবোন একই রকম পোশাক পরত, যেন দুজনের পোশাকি মিলটাও থাকে। এর ধারাবাহিকতায় এসেছে ‘যুগল পোশাক’। এরপর উৎসবে একটা সময়ে বাবা ছেলে বা মা মেয়ে মিলিয়ে পোশাক পরত। দম্পতিরা বাজার ঘুরে ঘুরে নিজেরা মিলিয়ে পোশাক কিনত, কিংবা দর্জির কাছে বানিয়ে নিত। এখন দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ডিজাইনাররা এ কাজ সহজ করে দিয়েছেন।
এ ধরনের পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে বেশি নজর রাখা হয়েছে রঙের ক্ষেত্রে। কারণ পোশাক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে রঙ নজর কাড়ে।

মিল রেখে পোশাক
পাঞ্জাবির সাথে শাড়ি অথবা পাঞ্জাবি আর সালোয়ার কামিজের যুগলবন্দি, বাবা-ছেলের ম্যাচিং পাঞ্জাবি আর বাবা- ছেলে-মা-মেয়ের একই রকম পোশাকের ট্রেন্ড চলছে কয়েক বছর ধরেই। কখনও একই রকম কাপড় দিয়ে, কখনো বা রং মিলিয়ে আবার কখনও একই রকম কারুকাজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এসব যুগল বা ম্যাচিং পোশাক।

ব্র্যান্ড ভেদে যুগল পোশাকের ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ির পাশাপাশি কিছু কুর্তির আয়োজন। ছেলেদের জন্য আছে পাঞ্জাবি।
পূজার বাজার ঘুরে দেখা গেল, এবারের যুগল পোশাকে আছে রঙ এবং নকশা এ দুইয়ের মেলবন্ধন। দু’জনের পোশাকে কখনও রঙবিন্যাস এক রেখে নকশায় আনা হয়েছে কিছু পরিবর্তন, আবার কখনও দেখা গেছে নকশা এক রেখে রঙের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্নতা। রঙের ক্ষেত্রে ভিন্নতায় চোখে পড়েছে এক রঙের ভিন্ন শেডের ব্যবহার আবার কখনওবা রঙের সম্পূর্ণ বৈপরীত্য। সলিড কালারে নকশার বৈচিত্র্য এনেছেন অনেক নকশাকার। তবে, মাঝ বয়সী আর পরিবারের সবার কথা চিন্তা করে রং আর নকশায় পরিবর্তন আনা হয় প্রতিটি পোশাকে।

মোটিফ বা ডিজাইনের রকমফের
দেশীয় নকশার সঙ্গে মিল রেখে পাশ্চাত্য কাটিংয়ের মিশ্রণে তরুণদের জন্য তৈরি হচ্ছে যুগলবন্দিপোশাক। প্রথম দিকে এসব পোশাকে তরুণদের আগ্রহ বেশি থাকলেও এখন সব বয়সীর পছন্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে যুগল পোশাক। মূলত: বিশেষ দিবসে অনেকেই পরতে চান একই ধরনের পোশাক।
অধিকাংশ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অনলাইন স্টোর ও ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখা গেছে এ ধরনের পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে বেশি নজর রাখা হয়েছে রঙের ক্ষেত্রে। কারণ পোশাক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে রঙ নজর কাড়ে। আর মোটিফের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে দুজনের ক্ষেত্রে সব সময় এক মোটিফ ব্যবহার করা হয় না, ডিজাইন ভেদে কখনো নিয়ে আসা হয় কিছুটা ভিন্নতাও। তবে শাড়ির ক্ষেত্রে আঁচলের ডিজাইনে ভ্যালু এডিশনে গুরুত্ব দেয়া হয় বেশি। সমসাময়িক ফ্যাশন ট্রেন্ডের সাথে ফিউশনও থাকে কখনও কখনও।
তবে জোড় পোশাকগুলো দাম সাশ্রয়ী করার জন্য ব্র্যান্ডগুলো পোশাকের ক্যানভাস ও ডিজাইনে কাট প্যাটার্নকে প্রাধান্য দিচ্ছে বেশি। পাশাপাশি মেশিন এম্ব্রয়ডারি, কাট ওয়ার্ক বা বল্ক প্রিন্টের ব্যবহারও থাকছে। উৎসব পার্বণে এখন যুগল পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। বয়স আর আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে ডিজাইনাররা তাই এসব পোশাক বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করছেন।

শারদীয় আয়োজন নিয়ে কে ক্র্যাফট

সামনেই দুর্গোৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব। তাই উৎসবকে আরো উৎসবমুখর করার প্রয়াসে কে ক্র্যাফট নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ধরনের নকশা ও প্যাটার্নে তৈরি করা বৈচিত্র্যময় নতুন পোশাক। স্পিরিচুয়াল আর্ট ফর্ম “মানডালা” আর্ট এর বিচিত্র রঙ এর বিন্যাসে জ্যামিতিক প্যাটার্ন এর অনুপ্রেরণায় একাধিক রঙের সমন্বয়ে চলমান ট্রেন্ড অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে শারদীয় দূর্গাপূজা কালেকশন ।
লিনেন, কটন, ভয়েল ও সিল্ক ইত্যাদি আরামদায়ক কাপড়ে প্রিন্টিং, এমব্রয়ডারি এবং মিক্সড মিডিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। মেরুন ও ফিরোজা রঙের বাইওে কে ক্র্যাফট এর পূজা আয়োজনে উল্লেখযোগ্য অন্যান্য রঙের মাঝে থাকছে- কোরাল রেড, লাইট ব্রাউন, ইয়েলো ওকরে, অরেঞ্জ।
এবারের শারদীয় আয়োজনকে ঘিরে করা হয়েছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, লং-কুর্তি, টপস, পাঞ্জাবি, শার্ট, ও শিশুদের জন্য নানা আয়োজন তো থাকছেই। যুগল ও ফ্যামিলি পোশাক থাকবে বরাবরের মত।
অর্থাৎ মা ও মেয়ের কুর্তি, বাবা ও ছেলের জন্য পাঞ্জাবি। এছাড়া যুগলদের জন্য শাড়ি ও পাঞ্জাবি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়