তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জন্য ঝাড়খণ্ডকে দুষলেন মমতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আগে থেকে না জানিয়ে ঝাড়খণ্ড বিভিন্ন জলাধার থেকে পানি ছেড়ে দেয়ায় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গতকাল শনিবার সকালে তিনি এ অভিযোগ করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
এবারের বন্যা পরিস্থিতিকে ‘মনুষ্যসৃষ্ট’ অ্যাখ্যা দিয়ে তৃণমূলপ্রধান বলেন, না জানিয়ে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া অপরাধ। এজন্যই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, কতবার বলেছি না বলে জল ছাড়বেন না।
বলতে বলতে হতাশ হয়ে যাচ্ছি। না জানিয়ে রাত ৩টার সময় যদি জল ছেড়ে দেয়, তাহলে তো মানুষ ঘুমন্ত অবস্থাতেই ভেসে যাবে। এটা পাপ। এটা অপরাধ। আগে থেকে জানলে তো আমরা মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারি। জল ছেড়ে কেন বন্যা ঘটাবে? ঝাড়খণ্ডের বোঝা আমরা কেন নেব? মমতার অভিযোগ কিংবা জলাধার থেকে পানি ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের সরকার বা কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে ৮০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়, শুক্রবার সকালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৫ হাজার কিউসেক। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। আনন্দবাজার জানিয়েছে, একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছিল, বাড়ছিল নদীর পানির স্তর। এর মধ্যেই মাইথন, পাঞ্চেত, ডিভিসির জলাধার থেকে পানি ছাড়ায় নদীগুলো ফুলে ফেঁপে ওঠে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান হরিকৃষ্ণ। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। পশ্চিমবঙ্গের এ মুখ্য সচিব বলেন, পানি নামার পরই ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণ করা যাবে। টানা বৃষ্টির কারণে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দামোদর, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ণ ও অজয় নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। হাওড়া, হুগলি থেকে পানি নামা শুরু করেছে, সেক্ষেত্রে ঘাটাল শহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন হরিকৃষ্ণ। শহরটিতে এর মধ্যেই ২ জনের মৃত্যু খবরও পাওয়া গেছে। মুখ্য সচিব বলেন, বাড়ি ভেঙে ওই দুর্ঘটনা ঘটে, নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়