তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বদ্ধপরিকর সরকার : জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বল্প আয়তনের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। সরকার কৃষি খাতসহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর আন্দোলনে সবাইকে শামিল করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম ইয়াহিয়া, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর নবনিযুক্ত মহা-পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মেজবাহ-উল-আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)-র পরিচালক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) মো. ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাগত বক্তব্য দেন। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঙ্গে ২১টি দেশের এনপিও সংস্থার কর্মকর্তারা ফেসবুকে সংযুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শুধু একটি নির্দিষ্ট খাতের অবদানের ওপর নির্ভরশীল নয়। এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় অর্থনীতির সব খাতের সামগ্রিক অগ্রগতি ও অবদান। উৎপাদনশীলতার সুফল শুধু উৎপাদনকারী এককভাবে ভোগ করে না। তার সুফল সরকার, মালিক, শ্রমিক ও ভোক্তাসহ সমাজের সবাই সমানভাবে ভোগ করে। তাই এর সুফল ভোগ করতে সমাজের সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং অঙ্গীকার একান্ত প্রয়োজন। আর এ সামগ্রিক অঙ্গীকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ হচ্ছে উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন কর্মসূচিকে জাতীয় আন্দোলনে রূপান্তরিত করা। উৎপাদনশীলতার স্তরে আমাদের কিছুটা পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ অবস্থা থেকে আমাদের দ্রুত উত্তরণ করতে হলে দেশের কৃষি, শিল্প কারখানা, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা কেন্দ্র, হাসপাতাল প্রভৃতি জাতীয় অর্থনীতির সব কর্মকাণ্ডের পদ্ধতিগত ও ধারাবাহিকভাবে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কর্মসূচিকে আরো জোরদার করতে হবে। সবাইকে উৎপাদনশীলতার সুফল সম্পর্কে সচেতন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির আন্দোলনে সবাইকে শামিল করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়নে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে নীতি কৌশলের ব্যাপক চর্চা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে সামঞ্জস্যপূর্ণ টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এ জন্য উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে আধুনিক কলাকৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ, সেমিনার, নতুন নতুন কৌশল, পদ্ধতি উপায়ে উদ্ভাবনী কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শ্রমিক, মালিক ও সরকারকে একত্রে উৎপাদশীলতা কার্যক্রমের সফলতার জন্য কাজ করতে হবে।
আমাদের উৎপাদশলীতার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে আমরা পৃথিবীর বুকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এনপিও তাদের গুণগত কার্যক্রম পরিচালনাসহ এনপিও মাস্টার প্লান তৈরি করে দিকনির্দেশনামূলক মাইলফলক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুখী, সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়