তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

আদিল মোহাম্মদ খান : প্রকল্প বাস্তবায়নে নেই আন্তঃসংস্থা সমন্বয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিআইপির সাধারণ সম্পাদক ও নগরবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেছেন, যে কোনো নগরীর জন্য উন্নয়ন প্রকল্প নিতেই হবে। ঢাকার গড়ে উঠাই ছিল সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। এই শহরে জনঘনত্ব ও জনসংখ্যা অনেক বেশি। ঢাকায় যে পরিমাণ রাস্তা হওয়া উচিত ছিল, সেই রাস্তাগুলো পরিকল্পনা ও স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী গড়ে উঠেনি। ফলে যখনই কোনো প্রকল্প নেয়া হয়, রাস্তা কাটতেই হয়। এছাড়া রাস্তার পাশে যে পরিমাণ জায়গা রেখে ভবনগুলো হওয়ার কথা সেভাবে হয়নি। তাই প্রকল্পের ভোগান্তিটা বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে টেলিফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
এই নগরবিদ বলেন, যে শহরে এক ভবন থেকে আরেক ভবনের দূরত্ব কম, ভবন থেকে সড়কের দূরত্ব কম। সড়কে লেনের সংখ্যা কম; সেখানে বুঝেশুনে প্রকল্প নেয়া উচিত। আরেকটা হচ্ছে প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই। এসব প্রকল্প নিজেই অন্য প্রকল্পের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার মানে প্রকল্পগুলোর মধ্যে আন্তঃসংস্থা সমন্বয় নেই, ধারণাও নেই। তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো দেশে প্রকল্প নেয়ার আগে প্ল্যান করা হয়। আমাদের ভূমির প্ল্যান করছে রাজউক। ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান করছে অন্যান্য অথরিটি। কিছু কিছু প্রকল্প রোডস এন্ড হাইওয়ে করছে। কিছু প্রকল্প এলজিইডি করছে। বিভিন্ন ধরনের অথরিটি হয়ে গেছে। এসব অথরিটি যে যার মতো করে প্ল্যান করছে, পরবর্তীতে এসে সেসব প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
বিআইপির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন যেসব প্রকল্প নেয়া হচ্ছে, সেগুলো কেন ভোগান্তির কারণ হচ্ছে। মূল কারণ হচ্ছে আমাদের প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন অজুহাতে ডিজাইন চেঞ্জ করা হয়। যেমন একটা প্রকল্পের ডিজাইন চূড়ান্ত করে বাস্তবায়নের সময়ও তা বিভিন্ন সংশোধন করা যায়। অনেক সময় আমূল পরিবর্তনও করা হয়। ফলে বাস্তবায়ন মেয়াদও বাড়ছে, অর্থও বাড়ছে। তাছাড়া প্রকল্প যখন কোনো ঠিকাদার কোম্পানি পেল, তাদের সব ধরনের চুক্তিতে লেখা থাকে, যা সড়ক খনন নীতিমালাতেও আছে। সেখানে লেখা আছে জনভোগান্তি সর্বনিম্ন রেখে যা যা করা দরকার, তার সবই করতে পারবে। এই নীতিমালা মানতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠিকাদাররা অবহেলা করে। তারা যে জায়গাটা খনন করছে, সেগুলো দ্রুত সরিয়ে না ফেলে গড়িমসি করেন, অনেক ক্ষেত্রে উদাসীন থাকেন। আরেকটি কারণ হচ্ছে যেসব এলাকায় প্রকল্পের কাজ হয়, সেসব এলাকায় মনিটরিং সংস্থা থাকলেও তারা সাইটে যান না, গাইড করেন না। ফলে ঠিকাদাররা নিজেদের খেয়াল খুশিমতো কাজ করেন। আরেকটা হলো প্রকল্প এলাকার জনপ্রতিনিধি বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দায়বদ্ধতা আছে, জনভোগান্তি এড়ানোর। সেটাও আমরা সেভাবে দেখি না। তারাও নিজেদের সেরকম ক্ষমতাবান ভাবেন না। ভাবেন যে সরকারি প্রকল্প চলছে। সেখানে আমরা কী বলব না বলব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়